অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনকে সামনে রেখে মেলবোর্নে পৌঁছেছেন রাফায়েল নাদাল। ৩৫ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড ২০০৯ সালে ক্যারিয়ারের একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জয় করেছিলেন। টুইটারে মেলবোর্ন পার্কের খালি কোর্টে দাঁড়িয়ে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘কাউকে বলো না… আমি যে এখানে।’ ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী নাদাল গত গত মাসের শুরুতে আবুধাবিতে প্রদর্শনী টুর্নামেন্ট খেলে বাড়িতে ফিরে করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। করোনাকালীন সময় কিছু অপ্রীতিকর মুহূর্তের অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে নাদাল স্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য নাদাল ছাড়াও আবুধাবীতে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ই পরবর্তীতে কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম হলেন বিশ্বের পাঁচ নম্বর খেলোয়াড় রাশিয়ান আন্দ্রি রুবলেভ, নারীদের অলিম্পিক সোনাজয়ী বেলিন্ডা বেনচিচ ও ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন এমা রাডুকানু। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামকে সামনে রেখে নাদালের উপস্থিতি নি:সন্দেহে আয়োজকদের বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে। এখনো বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচের অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ৩৪ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান তারকা ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রস্তুতিমূলত টুর্ণামেন্ট এটিপি কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আর এতেই অস্ট্রেলিয়ান শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে তার কোর্টে নামা নিয়ে শঙ্কা আরো বেড়েছে। নয়বারের মেলবোর্ন চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ এখনো নিশ্চিত করেননি তিনি আদৌ কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন দিয়েছেন কিনা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে হলে প্রতিটি খেলোয়াড়কে অবশ্যই ডাবল ভ্যাক্সিনেটেড হতে হবে। ইতোমধ্যেই ইনজুরির কারণে মেলবোর্ন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সেরেনা উইলিয়াম, রজার ফেদেরার, ডোমিনিক থিয়েম, জেনিফার বার্ডি, ক্যারোলিনা প্লিসকোভা, বিয়ানকা আন্দ্রেসকু ও ক্যারোলিনা মুচোভার মত তারকারা। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আকর্ষণ অনেকটাই কমে গেছে বলে আয়োজকরাও স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা