অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার মহানায়ক লিওনেল মেসির প্রথম বিশ্বকাপের সতীর্থ ছিলেন লিওনেল স্কালোনি। সেটা ২০০৬ সালের ঘটনা। এত বছর পর আবারও তিনি মেসির পাশে দাঁড়ালেন কোচ হিসেবে। এটাই মেসির ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। ১৬ বছর আগে যেটা হয়নি, এবার সেটা হয়ে গেল। বিশ্বকাপ জিতে নিল আর্জেন্টিনা। শুরু থেকে শেষ―এই অবিস্মরণীয় যাত্রায় মেসির সঙ্গী স্কালোনি। কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি হয়ে উঠলেন পর্দার পেছনের নায়ক। খেলোয়াড়ি জীবনে স্কালোনি রাইট ব্যাক বা রাইট মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন স্পেনের দেপোর্তিভো লা করুনা ক্লাবে। এ ছাড়াও তিনি লাজিও এবং আটলান্টার হয়েও খেলেছেন। তিনটি ক্লাবের হয়ে লা লিগায় ১২ মৌসুমে তিনি মোট ২৫৮টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ১৫টি। খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৬ সালে তিনি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ দলেরও অংশ ছিলেন। ফুটবলার হিসেবে ততটা সাফল্য না পেলেও কোচ হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন স্কালোনি। ২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর সেভিয়া এফসিতে কোচ হোর্হে সাম্পাওলির দলের সহকারী হয়ে যোগ দেন স্কালোনি। ২০১৭ সালের জুনে সাম্পাওলি আর্জেন্টিনার কোচ হলে স্কালোনিকে আবার তার সহকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কোনো ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা না থাকা স্কালোনিকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। স্কালোনির ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। গত বছর কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ২৮ বছর পর সে বছরই প্রথম আর্জেন্টিনা এই ট্রফি জিতেছিল। আর গত রোববার জিতলেন বিশ্বকাপ। ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা জয়ের পর স্কালোনি বলেছিলেন, তিনি সমালোচকদের পাত্তা দেন না। তার ভাষায়, ‘যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে তখন দল ছাড়া আমার মাথায় কিছু ছিল না। আমি আমার কাজ করেছি। নিজের সেরাটা দিয়েছি। কোনো সমালোচনায় আমার কিছু যায়-আসে না।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা