অনলাইন ডেস্ক :
“মেসি জর্দি আলবাৃ মেসির কাছে ফেরতৃ আবার আলবা, ক্রস করলেনৃ মেসিইইইইইই”, ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠের নাটকীয়তা ক্রমে চূড়ান্তে পৌঁছে গেল, যখন বল খুঁজে পেল কাক্সিক্ষত ঠিকানা। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে তখন যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটের খেলা চলছে। জর্দি আলবার সঙ্গে চমৎকার বোঝাপড়ায় দারুণভাবে বল জালে পাঠিয়ে ইন্টার মায়ামিকে পরাজয় থেকে উদ্ধার করলেন লিওনেল মেসি। মেজর লিগ সকারের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে এলএ গ্যালাক্সির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ইন্টার মায়ামি। নিজেদের মাঠে ৭৫তম মিনিটে দেজান ইয়োভেলিচের গোল এগিয়ে দেয় গ্যালাক্সিকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলে একজন মেসি ছিলেন বলে ৩ পয়েন্ট পাওয়া হলো না তাদের। বল দখলের লড়াইয়ে মায়ামি এগিয়ে ছিল যোজন যোজন। তবে বল পায়ে রাখা মানেই যে দাপট নয়, সেটিও ফুটে ওঠে এ দিন। ম্যাচের ৬৪ শতাংশ সময় বল ছিল মায়ামির। কিন্তু গোলে শট নিতে পারে তারা ১১টি, এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৫টি। ৩৬ শতাংশ সময় বল রেখেও গ্যালাক্সির গোলে শট নেয় ২৪টি, লক্ষ্যে ছিল ৯টি।
মায়ামির পয়েন্ট পাওয়ার আরেক নায়ক ডেরেক ক্যালেন্ডার। ৮টি সেভ করেন এই গোলকিপার। দলকে বড় বিপদ থেকে বাঁচান তিনি ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটেই। বক্সের ভেতর মায়ামির সের্হিও বুসকেতস ফাউল করলে পেনাল্টি পায় গ্যালাক্সি। পেনাল্টি শট নেন বুসকেতসের সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ রিকি পুজ। শটে জোরও ছিল বেশ। তবে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে তা ঠেকিয়ে দেন ক্যালেন্ডার। ২৯তম মিনিটের পুজের আরেকটি গোলার মতো শটের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ক্যালেন্ডার। তার হাতে লেগে ক্রসবারে লাগে বল। প্রথমার্ধে গোলে ১২টি শট নেয় গ্যালাক্সি, ২টি মায়ামি। গোল পায়নি কোনো দলই। ৬৬তম মিনিটে গ্যালাক্সির মিকি ইয়ামানের শট লাগে ডান পোস্টে। অবশেষে ৭৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। এবারও জোরালও শট নেন সেই পুজ। তবে তা ঠেকিয়ে দন ক্যালেন্ডার। ফিরতি বল পান মার্কো ডেলগাডো।
তিনি বল ধরে বাড়িয়ে দেন ফাঁকায় থাকা ইয়োভেলিচকে। সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড ভুল করেননি বল জালে পাঠাতে। এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ সময়টুক রক্ষণেই বেশি মনোযোগ দেয় গ্যালাক্সি। এই পরিক্রমায় ভুল করে বসেন ডেলগাডো। ৮৮তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে গ্যালাক্সির মিডফিল্ডারকে। পরের মিনিটেই মেসির শট একটু জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। এর তিন মিনিট পরই সেই গোল। মেসি পাস দিতে চেয়েছিলেন আলবাকে, কিন্তু গ্যালাক্সির একজন তা ঠেকিয়ে দিলেও তিনি ভুল করে আবার বল দিয়ে বসেন মেসিকেই। এবার তাকে কাটিয়ে মেসি বল বাড়িয়ে দেন বাঁদিক থেকে আগুয়ান আলবাকে। এই ডিফেন্ডার আলতো করে বল ফেরত দেন মেসিকে। তিনি বল পেয়ে বক্সের ভেতর এগিয়ে দেন আবার আলবাকে। বার্সেলোনায় বছরের পর বছর একসঙ্গে খেলে এই যোগাযোগ তো তাদের স্বয়ংক্রিয়! বক্সের ভেতর বাঁ প্রান্ত থেকে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে আলবা বল বাড়িয়ে দেন মেসির দিকে। জটলার ভেতর থেকেই নিখুঁতভাবে বল জালে জড়ান মেসি। জয় দিয়ে লিগ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে একটি পয়েন্ট পেলেন মেসিরা। গ্যালাক্সি লিগ শুরু করল পয়েন্ট হারিয়ে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা