অনলাইন ডেস্ক :
বিষয়টি নিয়ে আজকাল প্রায় সময় কথা ওঠে, ভাসে অসহিষ্ণুতার বাষ্প। কখনও সাংবাদিক, কখনও শিল্পীরাই শিল্পীদের প্রতি আঙুল তুলে বলেন, এখানে কেউ কারও নয়! প্রসঙ্গ, বিপদে বা সুখে শিল্পীরা নাকি শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান না। না পর্দার কাজে না ব্যক্তিজীবনে। বিশেষ করে অভিযোগ রয়েছে, এক শিল্পীর কাজের প্রচারণা নাকি অন্য শিল্পীরা করেন না। বরং মুখ ফিরেয়ে রাখেন! এসব অভিযোগ বা গুঞ্জনের সত্যতা প্রকট হলেও অন্তত একজন অভিনেতা যে কারও চেয়ে খানিক আলাদা এবং উদারও বটে। তিনি হলেন চঞ্চল চৌধুরী। যিনি বরাবরিই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নিজেকে সচল লাগের লম্বা লম্বা পোস্ট ও ছবি প্রকাশের মাধ্যমে। এবং তিনি প্রায় সব বিষয়ে সবাইকে নিয়েই লিখেন হাত খুলে। যদিও গুঞ্জন রয়েছে, দীর্ঘ দিনের সতীর্থ যোদ্ধা মোশাররফ করিমের সঙ্গে শুরু থেকেই প্রফেশনাল জেলাসি রয়েছে চঞ্চলের! টিভি পাড়ায় তাদের নিয়ে রয়েছে দুই ভাগ। দর্শক মহলেও রয়েছে একই চিত্র। যদিও বাস্তবে কখনও দুজনার মধ্যে মুখকালাকালির রেশ মেলেনি! এবার সেটির সনদ মিললো হাতেনাতে। সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে ফেসবুক পাতায় দীর্ঘ এক লেখা লিখলেন সব মাধ্যমে সর্বোচ্চ সফল অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যেখানে তার অক্ষরে উঠে এসেছে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়গুণের কথা। সঙ্গে মোশাররফ অভিনীত মুক্তিপ্রতীক্ষিত ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর ২’ বন্দনা। যেমনটা পাবলিক পোস্ট সচরাচর এই পর্যায়ের অভিনয়শিল্পীদের কাছ থেকে মেলে না। কিংবা সেই সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। সেই অপসংস্কৃতির বেড়া ভেঙে চঞ্চল চৌধুরী নির্দ্বিধায় বলে গেলেন অনেকগুলো কথা। শুরুতেই বলেন, ‘মোশাররফ করিমকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাইৃ। সে সত্যিকারের জাত অভিনেতা।’ কথাটি সবারই জানা এবং প্রমাণিত সত্য। কিন্তু সেটি যখন নতুন করে চঞ্চল চৌধুরীর মুখ থেকে ফোটে, তখন আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। বাংলা নাটকের দ্বৈরথ বলে কথা। সমসাময়িকদের প্রতি এমন সমর্থন তো পরের কথা, নিজের প্রশংসা বা স্তুতি করতে করতেই যেন ক্লান্ত বেশিরভাগ! মোশাররফ করিম সম্পর্কে ঐ এক লাইনই বললে সরাসরি চঞ্চল। বাকি লেখার পুরোটাজুড়ে ছিলো নির্মাতা আশফাক নিপুণ, অভিনেতা আফসানা মিমি, ফজলুর রহমান বাবু, শ্যামল মাওলা, তানজিকা ও দিব্য জ্যোতির কথা। যারা প্রত্যেকে ‘মহানগর ২’ ট্রেলারের মাধ্যমে মুগ্ধ করেছেন চঞ্চল চৌধুরীকে। চঞ্চল বলেন, ‘‘আমি বলবো ‘মহানগর ২’ নিয়ে, আশফাক নিপুণকে নিয়ে। ট্রেলার বলে দেয়, অনেক চমক আর ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হতে পারি আমরা। নতুন যারা যোগ হলেন এই যাত্রায়, তাদের প্রকাশ আর অভিব্যক্তি বলে দেয়, নিপুণ সুনিপুণ কর্ম সাধন করেছে, যা আগের চেয়ে ভালো। যে ভালোতে অন্যান্যের মতো আমিও আনন্দিত এবং অপেক্ষারত। চমক লাগলো দিব্য জ্যোতির কয়েকটা শট দেখে, সাথে তানজিকা। আর বাবু ভাই মানে ফজলুর রহমান বাবু, উনি তো একজনই। শ্যামল মাওলা তো শক্তিশালী অভিনেতা, ওর আরও এগিয়ে যাওয়া দেখতে চাই।’’চঞ্চল চৌধুরী অধীর হয়ে আছেন ‘মহানগর ২’ দেখে চমকিত হওয়ার জন্য। তার মতে, প্রথম সিজনের মতো এবারও যদি ভালো হয়, তবে বাংলাদেশের ওটিটি অধ্যায় আরও চলমান গতিতে পৌঁছাবে। যা ইন্ডাস্ট্রির সবার লাভ। প্রতিবেদন শুরুর প্রসঙ্গটি চঞ্চল নিজেই তার লেখার শেষাংশে শেয়ার করেছেন হতাশা প্রকাশের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্ভাব্য ভালো কাজগুলোকে সম্মান আর স্বীকৃতি জানাতেও অনেক সময় আমরা কার্পণ্য বোধ করি। ভালো কাজের জয় হোক।’ লেখার শেষে তিনি ‘মহানগর ২’ ট্রেলার শেয়ার করেন। বলা জরুরি, চঞ্চল চৌধুরী এখন বাংলা ভাষায় নির্মিত ওটিটি অধ্যায়ের সবচেয়ে সফল অভিনেতা হিসেবে অভিহিত করা হয়। তার অভিনয়ে ‘তাকদীর’ ও ‘কারাগার’ সিরিজ দুটি গোটা বিশ্বের বাংলা দর্শকদের কাছে তুমুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। পাশাপাশি টিভি, মঞ্চ ও সিনেমায় এখনও তার গতি আর সফলতা চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে!
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ