জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
বিষ মিশ্রিত মৃত ছাগল খেয়ে ১৩টি বিপন্ন প্রজাতির শকুনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি শিয়াল, কুকুর ও বিড়ালেরও মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে এলাকায় শিয়ালের উৎপাত বেড়েছে। অনেক ছাগল খেয়েছে শিয়াল। মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের বুড়িকোনা ক্ষেতের মাঠে কে বা কারা মৃত ছাগলের ওপর বিষ প্রয়োগ করে শিয়াল মারার জন্য ৫-৬ দিন আগে টোপ দেয়। সেই বিষ খেয়েই এসব শকুনসহ পশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন এলাকায় গিয়ে উপস্থিত হন।
তারা জানিয়েছেন, এমন নিষ্ঠুর কাজ যারা করেছে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি এখনো। তবে আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিয়াল মারার জন্য বিষ প্রয়োগ করায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ১০টি মৃত শুকুন উদ্ধার করে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য সিলেট ল্যাবে পাঠিয়েছি। এখানে আরও ৩টি মৃত শকুন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বড়কাপন গ্রামের বুড়িকোনা ক্ষেতের মাঠে কয়েক দিন ধরে ছড়িয়ে পড়ে আছে ৩টি মৃত শকুন, ২টি শিয়াল, ২টি কুকুর ও ১টি বিড়াল। মৃত শকুনের পাশে সেমকাপ নামের ৩টি কিটনাশকের বোতল পড়ে আছে।
এলাকার মাদরাসা শিক্ষার্থী সালাম জানান, কিছুদিন ধরে এই এলাকায় শিয়াদের উৎপাত বেড়েছে। মাঠে একটি মরা ছাগল ছিল। ওই মরা ছাগল খেতে আসা শুকুন ও শিয়াল-কুকুরের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, মৌলভীবাজারের সহকারী বনসংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ধারণা করছি বিষ প্রয়োগ করায় ১৩টি শুকুনের মৃত্যু হয়েছে। আরও নিশ্চিত হতে পারবো সিলেট থেকে রিপোর্ট এলে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বোঝা গেছে মৃত ছাগলের ওপর কে বা কারা বিষ দিয়েছে। আর বিষ খেয়ে শকুন ও অন্যান্য পশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি