May 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, March 13th, 2024, 1:47 pm

মৌলভীবাজারে মাস শেষের আগেই ফুরিয়ে যায় গ্যাস, ভোগান্তিতে গাড়িচালক-যাত্রীরা

মৌলভীবাজারে পেট্রোল পাম্পের জন্য নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ১১টি সিএনজি পাম্প রয়েছে। মৌলভীবাজার কার্যালয়ের আওতাধীন ৬টি, কুলাউড়ার আওতাধীন ২টি ও শ্রীমঙ্গলের আওতাধীন ৩টি রয়েছে।

প্রতি মাসের শেষের দিকে মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ৪ থেকে ৫টি পাম্পের নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকে। এ কারণে চালু পাম্পগুলোতে গ্যাস নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের।

কুলাউড়ায় গর্নভেলি সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত এক সিএনজি অটোরকিশা চালক বলেন, রাত ৩টা কেউ রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকে। বন্ধের সময়টা কমিয়ে দিলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।

মৌলভীবাজার মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত গাড়ির চালক রফিক মিয়া জানান, সকাল থেকে পাম্প বন্ধ থাকার কারণে আমাদেও জ্বালানি সংগ্রহ করতে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। পাম্প বন্ধের সময়টা কমানো হলে খুবই ভালো হয়। নিদিষ্ট পাম্পে গ্যাস না পেয়ে অনেক পরিবহন চালক এলপিজি ব্যবহার করছে। এলপিজির দাম একটু বেশি এতে বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন চালকরা।

মৌলভীবাজার জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মৌলভীবাজারে সিএনজি ফিলিংস্টেশনগুলো গড়ে ওঠে। ওই সময় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের সঙ্গে প্রতিটি পাম্পের বরাদ্দের বিষয়ে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী এক লাখ থেকে তিন লাখ কিউবিক ফুট গ্যাস পায় ফিলিংস্টেশনগুলো। শুরুর দিকে সমস্যা না হলেও কয়েক বছর ধরে এর চাহিদা বাড়ছে।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাসের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠক ও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান মিলছে না।

জালালাবাদ গ্যাস আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় মৌলভীবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল করিম চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মেনে সময়ের আগেই গ্যাস বিক্রি করে দেন। ফলে মাস শেষে অনেক পাম্প বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে জনসাধারনের ভোগান্তি কথা বিবেচনা করে গ্যাস কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন চালক ও জনগণ।

—-ইউএনবি