নিজস্ব প্রতিবেদক:
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে কোনো হিসাব খোলা যাবে না। আর ২০২৪ সালের জুনের পর বর্তমানে পরিচালিত ম্যানুয়াল হিসাব পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগেই ওসব হিসাব ডিজিটাল না করলে মুনাফা মিলবে না। এখন থেকে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে নতুন সব হিসাব ডিজিটাল হবে। ওই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ আদেশ জারি করেছে। সঞ্চয় অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক স্কিমের আওতায় খোলা যায় সাধারণ ও মেয়াদি হিসাব এবং ডাক জীবন বীমা হিসাব। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইনের আওতায় এসেছে মেয়াদি হিসাব। কিন্তু আগের নিয়মেই সাধারণ হিসাব পরিচালিত হয়। ফলে একই ব্যক্তি একাধিক অফিস থেকে সীমার বেশি বিনিয়োগ করলেও তা ধরা পড়ে না। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে সাধারণ ও মেয়াদি উভয় হিসাবে একক নামে সর্বোচ্চ ১০ লাখ এবং যৌথ নামে ২০ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ করা যায়। সাধারণ হিসাবে সুদহার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এক মাস বা তার বেশি মেয়াদে টাকা রাখলে এ হারে সুদ দেয়া হয়। এ ছাড়া এক, দুই ও তিন বছর মেয়াদি হিসাব খোলা যায়। সেক্ষেত্রে সুদহার তুলনামূলক বেশি। সূত্র জানায়, দ্রুত কমছে ডাকঘর সাধারণ ও মেয়াদি হিসাবে বিনিয়োগ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সাধারণ হিসাবে নতুন করে মাত্র ২৮৫ কোটি টাকা জমার বিপরীতে ভাঙানো হয়েছে ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। তাতে ১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা নিট বিনিয়োগ কমেছে। আর মেয়াদি হিসাবে ২ হাজার ১৮১ কোটি টাকা জমার বিপরীতে ভাঙানো হয়েছে ৯ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। তাতে ৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা নিট বিনিয়োগ কমেছে। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের বাইরে বর্তমানে পরিবার, পেনশনার, তিন মাস অন্তর মুনাফা এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র রয়েছে। যে অফিস থেকেই ওসব সঞ্চয়পত্র কেনা হোক, অনলাইনে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি হয়। ফলে মিথ্যা ঘোষণায় সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। বর্তমানে ব্যাংক, সঞ্চয় ব্যুরো ও ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বেচাকেনা হয়। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি