জেলা প্রতিনিধি :
করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে যশোর জেনারেল হাসপাতাল। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ২৪৩ জন রোগী। হাসপাতালে রয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সঙ্কট। এতে এ রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এদের মধ্যে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১ হাজার ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭৩ জনের। আক্রান্তের হার ৩৬ শতাংশ। গতকাল বুধবার দুপুরে যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৬৩২ জনের নমুনায় ২৫৩ জনের, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ছয়জনের নমুনায় পাঁচজনের, জিন এক্সপার্ট টেস্টে ১৪ জনের নমুনায় ৯ জনের ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১৭০ জনের ও সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪০৮ জন। আর জেলায় করোনায় মোট মারা গেছেন ১৮৭ জন। এদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রেড ও ইয়েলোজোনে রোগীদের প্রচ- চাপ রয়েছে। দেখা যায়, ইয়েলোজোনের তিনটি ওয়ার্ডে আসন সংখ্যার প্রায় তিনগুণ রোগী ভর্তি রয়েছেন। ফলে রুমের মেঝেতেও অসংখ্য রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেঝে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে বারান্দা বা রুমের বাইরেও রোগীদের অবস্থান নিতে হচ্ছে। আর এ বাড়তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। জানা যায়, বর্তমানে হাসপাতালে ৪৩ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। শূন্য রয়েছে ১২টি পদ। এজন্য গত ৩ জুন ২০ জন চিকিৎসক চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরিচালককে চিঠিও দেয়া হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে রয়েছে নার্স, আয়া ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর সঙ্কট। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে করোনা রোগীদের রেডজোনে ১৪৬ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ১৫৫ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ইয়েলোজোনের তিনটি ওয়ার্ডে ৩১ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৮৮ জন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ড. আরিফ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রেড ও ইয়েলোজোনে মোট ২৪৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তিনি আরও জানান, রোগীদের চাপ সামলাতে রেডজোনের শয্যা বৃদ্ধি করে ১৪৬টি করা হয়েছে। পাশাপাশি ইয়েলোজোনেও একটি নতুন ওয়ার্ড সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু শয্যা বৃদ্ধি করা গেলেও চিকিৎসক ও নার্স সঙ্কটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি