ব্র্যাভারম্যান পুলিশের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন
এপি, লন্ডন :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে বরখাস্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
সুয়েলা ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের প্রতি ব্রিটিশ পুলিশকে খুব নমনীয়তার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
সরকার বলেছে, সুনাক তার শীর্ষ সরকারি দলকে নাড়া দিয়ে মন্ত্রিসভা পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ব্র্যাভারম্যান তার চাকরি ছেড়েছিলেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন জেমস ক্লিভারলি, যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
ব্র্যাভারম্যান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল।’
সুনাকের উপর চাপ বাড়ছিল ব্র্যাভারম্যানকে বরখাস্ত করার জন্য।
গত সপ্তাহে পুলিশের উপর একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক আক্রমণের ব্যাপারে ব্র্যাভারম্যান বলেছিলেন, লন্ডনের পুলিশ বাহিনী ‘ফিলিস্তিনপন্থী মানুষের’ আইন ভাঙার বিষয়টি উপেক্ষা করছে।
তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বানকারী বিক্ষোভকারীদের ‘ঘৃণীত মিছিলকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শনিবার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং লন্ডনের রাস্তায় কয়েক হাজার মানুষ বিশাল একটি মিছিল করার চেষ্টা করে।
সমালোচকরা ব্রাভারম্যানকে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
গত সপ্তাহে ব্র্যাভারম্যান টাইমস অব লন্ডনের জন্য একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন।
যেখানে তিনি বলেছিলেন, পুলিশ ‘বিক্ষোভকারীদের ক্ষেত্রে নমনীয় ভূমিকা পালন করে’ এবং ডানপন্থী বিক্ষোভকারী বা গুণ্ডাদের চেয়েও ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের এবং ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার সমর্থকদের প্রতি বেশি নম্রভাবে দায়িত্ব পালন করে।’
নিবন্ধটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে দিয়ে অগ্রিম অনুমোদন করা হয়নি, যেমনটি সাধারণত করা হয়।
৪৩ বছর বয়সী ব্রেভারম্যান একজন আইনজীবী। তিনি অভিবাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষা, উদার সামাজিক মূল্যবোধ এবং যাকে তিনি ‘টোফু-ইটিং ওকেরাটি’ বলে অভিহিত করেছেন, তার বিরুদ্ধে সর্বদা কঠোর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে দলের জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছেন।
গত মাসে তিনি অভিবাসনকে একটি ‘হারিকেন’ বলে অভিহিত করেছেন। যা ‘এই উপকূলে আরও লক্ষাধিক অভিবাসীকে বয়ে আনবে, যারা অসংযত ও অনিয়ন্ত্রিত।’
স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে ব্র্যাভারম্যান রুয়ান্ডা থেকে ব্রিটেনে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনাকে সফল করেছিলেন।
বুধবার যুক্তরাজ্যের একটি সুপ্রিম কোর্ট নীতিটি বৈধ কি না তা নিয়ে রায় দিয়েছে৷
সমালোচকরা বলছেন, ব্র্যাভারম্যান পার্টি নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নিজের প্রোফাইল তৈরি করছেন। যা আগামী বছরের প্রত্যাশিত নির্বাচনে কনজারভেটিভরা ক্ষমতা হারালে কাজে আসতে পারে।
কয়েক মাস ধরে জনমত জরিপ দলটিকে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে ১৫ থেকে ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২