September 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 31st, 2023, 8:57 pm

যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার চিকিৎসায় ‘৭ মিনিটের ইনজেকশন’

অনলাইন ডেস্ক :

ক্যান্সার চিকিৎসার দীর্ঘ মেয়াদী সময় কমিয়ে আনার নতুন এক ইনজেকশন উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। এই ইনজেকশন রোগীর দেহে প্রয়োগ করতে সময় নেবে মাত্র ৭ মিনিট। ব্রিটেনের রাষ্ট্র-চালিত জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) জানিয়েছে, এর ফলে ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় তিন চতুর্থাংশ পর্যন্ত কমে আসবে। খবর রয়টার্সের। এনএইচএসের মতে, এতদিন পর্যন্ত ক্যান্সারের ওষুধ শিরার মাধ্যমে রোগীর শরীরে পৌঁছে দেওয়া হতো। এটি প্রায় ৩০ মিনিট থেকে প্রায় এক ঘণ্টা সময় নিত। তবে নতুন ভ্যাকসিন মাত্র ৭ মিনিটে একই কাজ করবে। নতুন এই ইনজেকশনটি ইংল্যান্ডের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি থেকে অনুমোদন পেয়েছেন বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

এরইমধ্যে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জানিয়েছে, এতদিন ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে শত শত ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা করা হয়েছে। এখন তাদের অ্যাটেজোলিজুমাবের ইনজেকশন দেয়া হবে। সাধারণত এটি ত্বকের নিচে দেয়া হয়। এর আরেক নাম টেসেন্ট্রিক। মূলত, এটি একটি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ওষুধ। যা ক্যানসার রোগীদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রোগীদের শিরায় দেয়া হয় এবং একটি ড্রিপের মাধ্যমে তা সরাসরি তাদের শিরায় পৌঁছে যায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ওয়েস্ট সাফোল্ক এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের কনসালট্যান্ট অনকোলজিস্ট ড. আলেকজান্ডার মার্টিন বলেন, নতুন ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা করা যাবে। আমরা আগের চেয়ে কম সময়ে আরও বেশি লোকের চিকিৎসা করতে পারবো। ইংল্যান্ডের হাজার হাজার ক্যান্সার রোগী অ্যাটেজোলিজুমাবের আইভি পদ্ধতি থেকে উপকৃত হয়েছেন। এই চিকিৎসায় ক্যান্সার ফিরে আসার ঝুঁকি খুবই কম থাকে। তিনি আরও বলেন, অ্যাটেজোলিজুমাব একটি ইমিউনোথেরাপি ওষুধ।

এটি রোগীর দেহে ক্যান্সার কোষগুলি খুঁজে পেতে এবং ধ্বংস করতে সক্ষম। এটি বর্তমানে ফুসফুস, স্তন, লিভার এবং মূত্রাশয় সহ বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, এতে আগের চেয়ে তিন চতুর্থাংশ সময় কম লাগবে। ইংল্যান্ডে প্রতিবছর ৩ হাজার ৬০০ রোগীকে এই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে তাদের কষ্টও কম হয় বলে জানায় ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)।