September 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 29th, 2023, 7:45 pm

যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে বন্দুক হামলায় ৮ জন নিহত

সিনহুয়া, নিউইয়র্ক :

গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি, ফ্লোরিডা ও ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে বেশ কয়েকটি বন্দুক হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।

সর্বশেষ গত রবিবার (২৭ আগস্ট) ভোরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যের ডাউনটাউন লুইসভিলের একটি রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

শনিবার বিকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের জ্যাকসনভিলে বর্ণবাদী কারণে একটি জেনারেল স্টোরে এক ব্যক্তি বন্দুক হামলা চালায়। এসময় বন্দুকধারীসহ কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।

এডওয়ার্ড ওয়াটার্স ইউনিভার্সিটির ঐতিহাসিক ব্ল্যাক কলেজ থেকে কয়েক ব্লক দূরে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে।

জ্যাকসনভিল শেরিফ টি.কে. ওয়াটার্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহতদের দুজন পুরুষ এবং একজন নারী। তারা সবাই কৃষ্ণাঙ্গ।

২১ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী রায়ান পালমিটার তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ফ্লোরিডার ক্লে কাউন্টিতে থাকতেন।

পুলিশের মতে, তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেল এবং একটি হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন।

শেরিফ জানান, হামলাকারী তার ‘ঘৃণাত্মক মতাদর্শ’ এবং আক্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা লিখে গেছেন।

হামলার পর পালমিটার গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন।

 

পুলিশের মতে, তিনি একাই এই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই স্পষ্টভাবে এবং জোর করে বলতে হবে যে আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের কোনো স্থান নেই।’

রবিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসনভিলে হামলার শিকারদের শান্তি কামনায় গির্জায় প্রার্থনায় শত শত লোক জড়ো হয়েছিল।

বন্দুক সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন সমাজে একটি মারাত্মক সমস্যা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র অনুসারে, ২০০৪ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২১ সালে তা রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ৮৩০-এ পৌঁছেছে।

বন্দুক সহিংসতা আর্কাইভ অনুসারে, ১ আগস্ট পর্যন্ত এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ২৫ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে।

অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১৮ জন মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৮৭৯ জন কিশোর এবং ১৭০ জন শিশু।