অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ৬ বছরের মধ্যে এটাই তার প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও শীর্ষ বৈঠকে বসবেন শি জিনপিং। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর শি জিনপিং যোগ দেবেন এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপারেশন ফোরামের বৈঠকে। প্রায় এক বছর পর বাইডেনের সঙ্গে শি-র মুখোমুখি বৈঠক হবে। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক এখন খুবই খারাপ, দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বি তা তুঙ্গে, অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই দুই দেশ। শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে নামার ঘণ্টা দুয়েক আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপারেশনের বৈঠকে বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিজেদের পথে হাঁটার অধিকার আছে।
এই অঞ্চলে পণ্য এবং মানুষের স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার আছে। ব্লিংকেন চীনের নাম নেননি। কিন্তু তার কথার মধ্যে থেকে আমেরিকার নীতিটা আবার স্পষ্ট হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু দিন ধরে বলে আসছিল যে, এই অঞ্চলের ছোট দেশগুলোর ওপর চীন দাদাগিরি করার চেষ্টা করছে। তবে এর আগে বাইডেন জানিয়েছিলেন, তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চান। দুই দেশের মধ্যে সেনাসহ সব পর্যায়ে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বাইডেন ও শি-র মধ্যেকার আলোচনায় ইয়রায়েল-হামাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গ উঠবে। দু’টি ক্ষেত্রেই আমেরিকার মনোভাব স্পষ্ট করবেন বাইডেন। শি পরে মার্কিন শিল্পপতিদের সঙ্গেও নৈশভোজে মিলিত হবেন। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ৪০ হাজার ইউএস ডলারের বিনিময়ে একজন অতিথি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একই টেবিলে বসার সুযোগ পাবেন। আর জনপ্রতি টিকিটের মূল্য শুরু হয়েছে দুই হাজার ডলার থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক বিষয়ক জাতীয় কমিটির একজন মুখপাত্র, যিনি এই নৈশভোজের আয়োজনেও যুক্ত রয়েছেন, তিনি বিবিসিকে বলেন, চীনের “খুবই উচ্চপদস্থ” কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা আছে, তবে সেখানে শি উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি তিনি। শি-বাইডেন বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হি লিফেংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে বসছেন, যেখানে দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠক সামনে রেখে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ‘সংকট দূর করা ও কাটিয়ে ওঠার’ ভার চাপিয়ে দিয়েছে বাইডেনের ওপর। তাদের ৮ নভেম্বরের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “ওয়াশিংটনে একটা অপশক্তি আছে যারা যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন চায় না এবং যখনই কোনো জটিলতা তৈরি হয়-তখনই তারা বেশি কার্যকর ভূমিকা নেয়।” সূত্র : বিবিসি
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু