পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বক্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই,কারণ তারা জনগণের রায়কে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অহিংস পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটাই যথেষ্ট।’ বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এতে খুবই খুশি।’
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আবারও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
মোমেন বলেন, দেশের জনগণ তাদের রায় দিয়েছে এবং তাদের আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
মোমেন এই অনুষ্ঠানটিকে কেবল একটি স্ট্যান্ডার্ড ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল সমন্বয় দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, সহযোগিতা ও অবদানের কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধারাবাহিকতার প্রতীক। যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবদান রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মোমেনের বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের মধ্যে দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলা হয়, ‘নতুন সরকারের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সংহতকরণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত হবে।’
ব্রিফিং নোটে বলা হয়, ‘আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সফল হবে, যা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম গর্ববোধ করবে।’
এতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিগত তিন মেয়াদে অর্জিত আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতা আনার নতুন সুযোগের সূচনা করবে। গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব অর্জনে অনেক অবদান রেখেছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম