রেলওয়ের টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় যুবলীগ ছাত্রলীগের ৬৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত আসামি অমিত মুহুরি মারা যাওয়ায় তাকে বাদ রেখে বাকিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়েছে। এসময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন এজাহারভুক্ত ৫৪ জন আসামি।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।
তিনি জানান, অভিযুক্ত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ৫৪ জন আসামি। আগামী ২৫ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী, সাইফুল আলম লিমন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ উপস্থিত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনান। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপিকে মামলার চার্জ গঠনে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কেশব চন্দ্র নাথ, সাব্বির আহমেদ শাকিল ও সাহাব উদ্দিন।
উল্লেখ্য, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও পথচারী শিশু মোহাম্মদ আরমান (৮)।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে বাবর-লিমনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় বাবর-লিমন দুজনই গ্রেপ্তার হন। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।
২০১৫ সালের নভেম্বরের ৬২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সে সময় আসামি পক্ষের নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই নতুন করে দুজনকে যুক্ত করে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশির্ট দাখিল করে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম