অনলাইন ডেস্ক :
নাসুম আহমেদের বোলিং নিয়ে তো চর্চা হচ্ছেই। উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, স্তুতির জোয়ার চলছে। তবে রাসেল ডমিঙ্গো তুলে ধরলেন এই বাঁহাতি স্পিনারের আরেকটি দিক। জাতীয় দলে শুরুর দিকে নাসুমের ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছেতাই। সেই তিনিই এখন দলের সেরা ফিল্ডারদের একজন। নাসুমের সেই উন্নতির গল্প শোনালেন বাংলাদেশ কোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে টিভিতে ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ফাস্ট বোলার ইয়ান বিশপের সঙ্গে ডমিঙ্গোর আলোচনায় উঠে আসে নাসুমের এই দিকটি। প্রসঙ্গ ছিল তার বোলিং নিয়েই। এই সিরিজ দিয়ে নাসুমের অভিষেক। প্রথম দুই ম্যাচেই অসাধারণ বোলিং করে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। বোলিংয়ের সেই আলোচনা থেকে ডমিঙ্গো নিজেই বললেন নাসুমের ফিল্ডিংয়ের কথা। গত বছরের মার্চে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তার সেই সময়ের ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে এখনকার ফিল্ডিংয়ের পার্থক্য কতটা, সেটিই উল্লেখ করলেন বাংলাদেশ কোচ। “আরেকটি ব্যাপার হলো, বছর দেড়েক আগে যখন সে শুরু করেছিল, আমার দেখা সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ ফিল্ডার ছিল সে। তবে এখন সে দলের সেরা ফিল্ডারদের একজন হয়ে উঠছে। ওকে নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ওয়ানডেতে সুযোগ খুব একটা পায়নি, কারণ সাকিব আছে, সঙ্গে মিরাজকে খেলানো হয়। তবে এখানে এসে সে দারুণভাবে সুযোগটি লুফে নিয়েছে।” বিশপ তখন জানতে চান, কীভাবে ফিল্ডিংয়ে এই উন্নতি হলো। ডমিঙ্গো কৃতিত্ব দিলেন নাসুমকেই। “ফিল্ডিং কোচ তো আছেই, কাজ করছেন। তবে কৃতিত্ব তাকেই (নাসুম) দিতে হবে। সে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছে, বিপিএল ও অন্যান্য টুর্নামেন্টে কাজ করেছে ফিল্ডিং নিয়ে। কোচদের সে সবসময় নানারকম ভিডিও পাঠায় যে ‘এটা করছি, ওটা চেষ্টা করছি।’ সব কৃতিত্ব তাই তারই। সে দারুণ করছে। আমি খুবই খুশি যে সে কষ্টের ফল পাচ্ছে।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা