April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, January 19th, 2023, 6:40 pm

যে কারণে কলকাতায় মিম

অনলাইন ডেস্ক :

গত বছর ‘বর্ষসেরা’ নায়িকা হয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এ সময়ের সেরা নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। ‘মাদিহা মার্সিহা অ্যাডভারটাইজিং’র এক জরিপে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমাতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি ২০২২ সালের বর্ষসেরা নায়িকা হিসেবে বিবেচিত হন। ইংরেজি নতুন বছর উদ্যাপনের জন্য মিম নতুন বছর আসার আগেই স্বামী ও মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে দুবাই গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নতুন বছর উদযাপন শেষে ৮ জানুয়ারি দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে এরইমধ্যে কলকাতাও চলে গেছেন তিনি। সেখানে ১৫ জানুয়ারি থেকে তিনি সঞ্জয় সমাদ্দারের পরিচালনায় জিৎ’র বিপরীতে ‘মানুষ’ নামক সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। ‘মিম জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতেও এ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য তাকে কলকাতায় যেতে হবে। সিনেমাটিতে মিম অভিনয় করছেন মন্দিরা চরিত্রে। বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘এর আগে জিৎ দা’র সঙ্গে সুলতান সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। বেশ কয়েক বছর বিরতি শেষে আবারো তার সঙ্গে নতুন সিনেমায় কাজ করছি। সিনেমাটির গল্প, আমার চরিত্র সবই এক কথায় দুর্দান্ত। আমার ভীষণ ভালো লাগছে এ সিনেমায় অভিনয় করে। এখানে পুরো ইউনিট ভীষণ সহযোগিতাপরায়ণ। সঙ্গে আমার মা আছেন। যে কারণে কাজটা নিশ্চিতে মনোযোগ দিয়ে করতে পারছি। সত্যি বলতে কি মায়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। সেই শুরু থেকে মা আমাকে যেভাবে গাইড করে করে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে এসেছেন, সেজন্য তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। মায়ের ঋণ শোধ করা যায় না। আর আমার ক্ষেত্রে তো আরও সম্ভব নয়। শুধু সবার কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া চাই, ঈশ্বর যেন আমার মাকে, বাবাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।’ গত বছর ‘পরাণ’ ছাড়াও মিম অভিনীত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘দামাল’ সিনেমাটিও মুক্তি পায়। ‘পরাণ’ ছবিতে মিমের বিপরীতে ছিলেন ইয়াশ ও রাজ; ‘দামাল’ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সিয়াম ও রাজ। এদিকে মিম ‘ইউনিসেফ’র শুভেচ্ছাদূত হয়েও নিয়মিত কাজ করছেন। হুমায়ূন আহমেদ’র পরিচালনায় মিম প্রথম ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় অভিনয় করেন। খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। মিম গত বছর সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন।