৬৭ বছর বয়সে ফের বিয়ের পিড়িতে বসলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কমিশনার ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
সোমবার রাতে উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সাত পাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শেষ বয়সের বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতুহলের শেষ ছিলনা। ফেসবুকে ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, ফণিভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে এক কন্যা সন্তানের জনক।
গত বছর করোনায় তাঁর স্ত্রী আলো রানী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দেড় বছর পর ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের আবদার রাখতে নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসলেন, এমনটাই জানান, ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু।
কনে শিউলি রানী কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা। কনের বয়স ৪০। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে উপজেলার সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দিরে দু’জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও আত্মীয় স্বজনরা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেন।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে বাড়ি ফিরেন ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
বৃদ্ধ বয়সে মাঝারি বয়সের কনেকে বিয়ে করে নিয়ে আসলে নব বধূকে এক নজর দেখতে এলাকার শত শত আবাল বৃদ্ধ বণিতা ভিড় জমাচ্ছেন আজও।
এদিকে বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এ প্রসঙ্গে তাপু বলেন, গত বছর আমার প্রথম স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছিলাম। এ জন্যেই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
তাঁর এক নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, ঠাকুরমা’র মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোন একা হয়ে পড়ি, ঘর ফাঁকা ফাঁকা। মা ও বাবা চিকিৎসক হওয়ায় তারা সব সময় ব্যস্ত থাকেন। দাদা ফার্মেসি নিয়ে বাজারে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। আমাদের খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহা খুশি।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি