নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রিভারাইন পিপল ক্লাব শ্যামাসুন্দরীকে বাঁচাতে চারদফা দাবিতে মানবন্ধনের আয়োজন করে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে দুপুর ১২টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারি সুপ্ত, সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য-সচিব শিহাব প্রধান। মানব বন্ধনে বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মন্ডল, জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক জহির উদ্দিন, শিক্ষার্থী সোহেল রানা, কামাইকলে কলেজ রিভারাইন পিপল ক্লাবের সদস্য মিরাজ আহমেদ, মমিনুর রহমান প্রমুখ।
শ্যামাসুন্দরী বাঁচাতে চার দফা দাবি হলো, ঘাঘটের উৎসমুখ খুলে দেওয়া, শ্যামাসুন্দরী থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা, দূষণ বন্ধ করা এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে খনন করা।
বক্তব্যে অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘ শ্যামাসুন্দরী খাল নামে পরিচিতি হলেও জেমস রেনেলের অষ্টাদশ শতকের নদীর মানচিত্র অনুয়ায়ী দেখা যায় এটি ঘাঘট নদীর পুরনো প্রবাহ। নদী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক তার বইয়ে শ্যামাসুন্দরীকে নদী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর প্রবাহবৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এটা নদী। বর্তমানে এ নদীর প্রধান পানির উৎস ঘাঘট। নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের আলসিয়াপাড়া গ্রামে ঘাঘটের উৎসমুখ তিস্তা নদী থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে শ্যামাসুন্দরী স্রোত হারিয়েছে।’
অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ আরও বলেন- নদীটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য উল্লিখিত চারদফার কোন বিকল্প নেই।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মন্ডল বলেন ‘শ্যামাসুন্দরী রংপুরের প্রাণ। একে বাঁচাতে সবার একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রায় এক ঘণ্টার মানবন্ধনে বক্তাগণ শ্যামাসুন্দরী রক্ষার জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা