নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
রংপুর নগরীতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী আসাদুল হক (৬০) হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নগরীর তাজহাট থানা এলাকার ধর্মদাস বারো আউলিয়া গ্রামের মৃত জাফর ড্রাইভারের ছেলে রতন মিয়া (৩২) এবং খোর্দ্দ তামপাট আদর্শপাড়া এলাকার মনির মিস্ত্রীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬)। এ ছাড়া মোর্শেদা বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত আইনজীবী আসাদুল হক রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক এপিপি ছিলেন।
নিহত আইনজীবীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে আশা হক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। করোনা পরিস্থিতিতে ছোট মেয়ে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী আরফিন নাহার অংকনকে নিয়ে স্ত্রী নিজ গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া ছড়ান এলাকায় অবস্থান করছিলেন। আর ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকার ওই বাড়িতে আসাদুল হক একা থাকতেন।
ঘটনার দিন ২০২০ সালের ৫ জুন (শুক্রবার) বেলা দেড়টার দিকে চুরি করতে গিয়ে আইনজীবীর হাতে ধরা পড়েন রতন। এ সময় আসাদুল হকের গলায় এবং পেটে ছুরিকাঘাত করে দেয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা রতনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করে।এ ঘটনায় আসাদুল হকের ছোট মেয়ে আরফিন নাহার অঙ্কন বাদী হয়ে ওইদিনই রতন ও সাইফুলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে তদন্তে মোর্শেদা বেগমের নাম উঠে আসে। মোর্শেদা বেগম মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রতনের মা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি আবদুল মালেক রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, আমরা ন্যাচবিচার পেয়েছি। আশা করি উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ