নিজস্ব প্রতিবেদক,রংপুর :
রংপুরে আরটিভির প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বাদল ও দৈনিক যুগের আলোর স্টাফ ফটোসাংবাদিক আনোয়ার হোসেন ইমরোজ ইমুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিকরা। এ কর্মসূচি থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারে আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থানসহ বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এতে রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, টিসিএ রংপুর, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটিসহ রংপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া কমর্রত সাংবাদিকরা অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বুধবার (১৯ এপ্রিল) রংপুর নগরীতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুড়াতিপাড়ায় ফটোসাংবাদিক আনোয়ার হোসেন ইমরোজ ইমু এবং কুকরুল গলাকাটা মোড় এলাকায় সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বাদল সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। পৃথক এ দুটি হামলার ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ প্রশাসন আসামিদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। একের পর এক হামলা, মামলা ও নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা হামলার ঘটনায় জড়িত, তারা স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ও প্রভাবশালী। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষও কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এসব চিন্থিত সন্ত্রাসীরা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কথায় অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছে। অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া না হলে ঈদ পরবর্তী বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মানববন্ধন সমাবেশে একুশে টেলিভিশনের রংপুর প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক লিাকত আলী বাদলের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ফরহাদুজ্জামান ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন; সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সাহেদ মন্টু, জয়নাল আবেদীন, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুস সালাম, রংপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের সহ-সভাপতি তাজিদুল ইসলাম লাল, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ বায়েজিদ আহম্মেদ, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, সিটি প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম জীবন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রহমত উল্লাহ অপু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, টিসিএ রংপুরের সভাপতি শাহ্ নেওয়াজ জনি, বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি রংপুর জেলা সভাপতি কামরুল হাসান টিটু, জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের সংগঠক বেলাল হোসেন প্রমুখ।
সাংবাদিক নেতারা রংপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মারপিট, নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ভেদাভেদ ভুলে সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে। সেই সাথে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী ও যারা সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সামনে সাংবাদিকদের কলমকে বাধাগ্রস্থ করার সাহস পাবে দুষ্কৃতিকারীরা।
এছাড়াও হামলার ঘটনা তুলে ধরে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বাদল ও আনোয়ার হোসেন ইমরোজ ইমু বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা, চ্যানেল আই রংপুর ব্যুরো মেরিনা লাভলী, নিউজ টুয়েন্টিফোর রেজাউল করিম মানিক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ফখরুল শাহীন, এশিয়ান টিভির বাদশাহ ওসমানী, আনন্দ টিভির মাহফুজুল ইসলাম প্রিন্স, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলাম, টিসিএ রংপুরের সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি