নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
জাত-পাত, পেশা-ভাষা ও সংস্কৃতির কারণে হরিজন জনগোষ্ঠীর প্রতি ভেদাভেদ-বৈষম্যের প্রতিবাদে ৪ দফা দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন রংপুর জেলা শাখা। বুধবার দুপুরে স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের লিখিত সংবাদ সম্মেলন উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাশফোর। সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা দাবির মধ্যে ছিলো,
১. বৈশম্য বেরোধী বিল-২০২২ বাতিল কর। পক্ষান্তরে হরিজন জনগোষ্ঠীর প্রতি যে কোন বৈষম্যমূলক-বর্ণবাদি আচরণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. বাংলাদেশ সংবিধানের জাতিসত্বা গেজেটে হরিজন জনগোষ্ঠীর নাম অর্ন্তভূক্ত করতে হবে।
৩. জাত-পাত, পেশা-ভাষা ও সংস্কৃতির কারণে হরিজন জনগোষ্ঠীর প্রতি চলমান বৈষম্য দুরিকরণে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
৪. অনগ্রসর, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে হরিজনদের জীবন-মান উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও চাকুরী ক্ষেত্রে নিশেষ কোটার ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে পত্রিকার চিত্র তুলে ধরে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়াতে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ৭বছরের শিশু বীরা স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় হোটেলের বাইরে বসে খাবার খাচ্ছে। রংপুরের মৌবন হোটেলে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জীবন বাসফোর বৈষম্যের শিকার, সান্তাহারে মিঠুন বাসফোর হোটেলের এক কর্মচারিকে স্পর্শ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মচারি তাকে মারধর করে এক পর্যায়ে গরম তেলে তার হাত ঝলসে যায়। এরকম বৈষম্যের চিত্রের উদাহরন তুলে ধরা হয় যা নিন্দনীয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা শবরন বাসফোর, কানাই বাসফোর, সহ-সভাপতি রাজু বাসফোর, সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোরসহ নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি