April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, October 25th, 2022, 8:20 pm

রংপুরে ৪ বছরেও শুরু হয়নি দুই সরকারি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :

চার বছর আগে জাতীয় অর্থনীতি পরিষদে (একনেক) পাস হওয়া রংপুরের দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়রে নির্মাণ কাজ অদৃশ্য কারণে এখনও শুরু হয়নি।সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে দেশজুড়ে নয়টি সরকারি বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয় একনেক। এর মধ্যে রংপুরে দুটি বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়।রংপুর শহরে একটি বালক ও একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চালুর সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও ঠিকাদার কাজ শুরু করেনি এখনও। এলাকায় স্কুল সংকটের কারণে অভিভাবকদের দূরের স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের।শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ দাবি করছে, নকশা জটিলতা, সম্প্রতি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, নিচু জমিসহ যেসব সমস্যা ছিল, তা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। কাজ শুরু হবে দ্রুতই।রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, সারাদেশে ৯টি সরকারি স্কুল প্রকল্পের আওতায় রংপুর নগরীর উত্তম মৌজার হাজিপাড়া পুরনো রেডিও সেন্টারে ‘বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ আর কামালকাছনা মৌজার বোতলায় হবে ‘বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’।বিদ্যালয় দুটি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে। এরপর রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণ হওয়া জমি শিক্ষা প্রকৌশলকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, বিদ্যালয় দুটি স্থাপনের জন্য টেন্ডার আহ্বান শেষে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে এসএসএল-এসই-এমএ জেভি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রকল্পের কাজ শুরু হবার কথা ছিল চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল। শেষ হবে ৩৬ মাসে। কিন্তু কার্যাদেশ হওয়ার সাত মাস পার হতে চললেও কাজ শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে বাড়তি অর্থ গচ্চা দিতে হবে সরকারকে।প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি বিদ্যালয়ের জন্য ২৩ কোটি ১০ লাখ ৮ হাজার ৪৩২ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। নগরীর সেনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আফরোজা সুমি নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়েকে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য গত দুই বছর লটারিতে অংশ নিয়েছি, তবে নাম ওঠেনি। আমি চাইছিলাম যে সে রংপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে পডুক। কিন্তু এত বেশি আবেদন যে সে আশা পূর্ণ হয়নি। আমার মতো শতশত অভিভাবক চায় রংপুরে যে দুটি বিদ্যালয় হওয়ার খবর আমরা শুনেছি, তা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।’জাহাঙ্গির আলম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘দেশের অন্যান্য জেলায় অধিক সংখ্যক মাধ্যমিক সরকারি স্কুল থাকলেও রংপুরে মাত্র দুটি। এ ক্ষেত্রেও রংপুর বঞ্চিত। আন্দোলন করে দুটি সরকারি স্কুল পেলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হলো না।’
নজরুল ইসলাম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষায় রংপুর জিলা স্কুলে ২৫০টি আসনের বিপরীতে প্রতি বছর গড়ে দুই হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশ নেয। এ সংখ্যা দিন দিন আরো বাড়ছে। একই অবস্থা অন্য স্কুলটিতেও। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে স্কুল প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। যে সমস্যাই হোক সমাধান করতে হবে, স্কুল দুটি চালু করতে হবে।রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি দেখছে শিক্ষা প্রকৌশল। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’