নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এর শপিং কমপ্লেক্সে সহায়-সম্বল নিঃশেষ করে টাকা জমা দিয়েও দোকান বরাদ্দ না পাওয়ার বিষয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড শপিং কমপ্লেক্সে অর্থ প্রদানকারী অতিদরীদ্র ২৬ জন ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গণস্বাক্ষর করে সমবায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর মানবিক আবেদন করেছেন।উল্লেখ্য, রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক মার্কেটে বরাদ্দকৃত দোকানে দীর্ঘদিন ধরে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বিগত ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক রংপুর সিটি মেয়র মরহুম সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু সাথে পুরাতন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এর ভবন ভেঙ্গে সেই স্থানে নতুন বহুতল শপিং কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।সে মোতাবেক বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত পত্রের আলোকে তারা পুড়াতন ব্যাংক ভবনসহ ব্যাংক প্রাঙ্গনে অবস্থিত মার্কেটের সকল দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা দোকান ছেড়ে দেন। ইতোমধ্যে পুড়াতন ব্যাংক ভবন ভেঙ্গে ঐ স্থানে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্স নির্মান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দোকান বরাদ্দের জন্য টাকা জমাকারীদের মধ্যে অনেকেই দোকান ঘরের স্থাপনার দখল বুঝে পেয়েছেন। তবে বর্তমান কমিটি দরিদ্র্র দোকানদারদের কথা আমলে নিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো গরজ নেই। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তাদের অনেকেরই একমাত্র আয়ের পথ ছিল নানামুখি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নিয়মানুযায়ী সকলেই নতুন দোকান বরাদ্দের জন্য ঘরের অবস্থান অনুযায়ী স্ব-স্ব চুক্তি মোতাবেক বরাদ্দের অর্থ রংপুর মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এ রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক এর নিজস্ব একাউন্ট নম্বর ০১২২১১১০০০০৪৯৪৮ এ বিভিন্ন তারিখে অর্থ জমা করেছেন। এটি করতে গিয়ে তাদের বেশিরভাগ দোকানদারই পরিবারের সর্বস্ব স্থাবর-অস্থাবর বিক্রি করে নিঃশেষ হয়েছেন। গণস্বাক্ষরকারী দোকানদারদের মধ্যে তারিকুল ইসলাম মানিক, মোহাম্মদ সাজু মিয়া ও আতোয়ার তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অতিদরিদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা দোকান মালিকরা জমাকৃত অর্থের দোকান ঘর না পেলে সবাইকে পথে বসতে হবে। এ বিষয়ে সমবায় বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ রংপুর বিভাগ ও জেলার সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে তাদের প্রতি সুবিচারের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছে ভুক্তভুভোগীরা।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় সমবায় কার্যালয় রংপুর এর যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, “নালিশী বিষয়গুলো সমবায়ের বিধি মোতাবেক সুরাহা সম্ভব। সমবায় সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা হলে ভুক্তভোগী উপ-নিবন্ধক (বিচার) বরাবর এ ব্যপারে মামলা করার বিধান রয়েছে। ”বিষয়টি রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষারকান্তি মন্ডল এর দৃষ্টি আর্কষন করা হলে তিনি বলেন, শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে মানুষের টাকায়। সরকারী টাকায় নয়। আগে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হোক তারপর দেখা যাবে।##
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি