চট্টগ্রাম মহানগরীতে রবিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে বাস চলাচল করবে। শনিবার সন্ধ্যায় পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির নেতারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘আমরা মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের সমিতির অধীন যে বাসগুলো আছে তা রবিবার সকাল থেকে আবারও চলাচল করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছিলাম জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে। আমরা দাবি দিয়েছিলাম জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর জন্য অথবা আমাদের গাড়ির ভাড়া বাড়ানোর জন্য। গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি বন্ধ রেখেছি। আজকেও আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কিছু কিছু শ্রমিক নামধারী রাস্তায় পিকিটিং করছে। শ্রমিক নাম দিয়ে তাদের সাথে কিছু অবাঞ্চিত লোক গিয়ে রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেবে এটা হতে পারে না। তারা বিভিন্ন মিল কারখানার গাড়িও বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা মানুষকে বিপর্যস্ত আবস্থায় ফেলতে চাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা আগমীকাল সকাল থেকে গাড়ি চালাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি কোনো ধরনের পিকিটিংয়ে যাব না। আমাদের পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটের কারণে সরকার বা জনগণের যেন কোনো ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, আমরা তা চাই। সেকারণে আগামীকাল সকাল থেকে আমরা গাড়ি চালাবো।’
এর আগে শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টাইগারপাস এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি আটকে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর সব ধরনের গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপরেই বৃহস্পতিবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান মালিকরা।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক