জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ (শাহজাদপুর):
শীতকালীন ছুটি শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে শ্রেণি কার্যক্রম আরম্ভ হয়। দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দিনের শুরুতেই সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো মুদ্রিত ব্যাগ, প্যাড, কলম এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কপি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩-এ বিকালে সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে উপাচার্য শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অষ্টম বছরে পদার্পণ করেছে, আমরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কর্মকাণ্ডে যে ছন্দ লক্ষ্য করছি, সেটি আমাদের মনে আশা সঞ্চার করেছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সংকট কাটিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কাজকর্ম শুরু করেছে এবং বিভিন্ন দিকে নিজস্ব সংস্কৃতি অনুযায়ী স্বীয় লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। খ্রিষ্টীয় নববর্ষে আমাদের নতুন করে প্রেরণা নিতে হবে, আমরা এবার আমাদের শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করতে চাই। আমাদের যে মৌলিক সংকটগুলো ছিল তার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কিছুটা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। যে কাজগুলো সম্পাদন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল কিন্তু আগে সেটা করা সম্ভব হচ্ছিল না, এখন সেগুলো করা সম্ভব হয়েছে। আমরা এই ধারাটাকে সুসংহত রাখতে এবং গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করতে চাই।
প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, নআরো বলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার মাধ্যমে সামনের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নির্বাচিত হবে ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তিনি বাংলাদেশেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান একটি দেশ হিসেবে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন ও নতুন প্রজন্ম সেই আলোয় আলোকিত হবে এটি আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশের যত বঞ্চিত মানুষ আছে সেই তুলনায় আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছি কিংবা ব্যবস্থাপকীয় কাজ করছি তারা সুবিধাগত দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের এই দেশ যে লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে সেটি যেন আমরা ভুলে না যাই, সে বিষয়টি তিনি বছরের প্রথম দিনে সকলকে মনে করিয়ে দেন এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আমরা যেভাবে বিগত বছরগুলোতে কাজ করেছি, এবছরে আমরা নতুন উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উন্নয়নে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবেলায় সক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ অবদান রাখবে। উল্লেখ্য ২৪ ডিসেম্বর (রবিবার) থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ছুটি আরম্ভ হয়ে ৩১ ডিসেম্বর (রবিবার) শেষ হয় এবং ০১ জানুয়ারি ২০২৪ (সোমবার) একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা