November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 11th, 2023, 3:14 pm

রসিকের বস্তি এলাকার বেসীর ভাগ শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

জেলা প্রতিনিধি, রংপুর :

রংপুর ব্যুরো রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) বস্তি এলাকার অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের শতকরা ৬৭ ভাগ শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া বয়স ও উচ্চতা বিবেচনায় রয়েছে বেশি ওজনের শিশুর সংখ্যা, যা উদ্বেগজনক। এসব এলাকায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রসিকের সভাকক্ষে বাংলাদেশ নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ‘অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের পুষ্টিহীনতা যাচাই’ এর ফলাফল অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় রসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ বলেন, চলতি বছরের ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিসেফের সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়। নগরভবনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা সেবাগ্রহীতাসহ নগরীর বিভিন্ন বস্তি এলাকার চার হাজার ৪০৬ জন শিশুকে নিয়ে চালানো এ জরিপ কার্যক্রমে ৩৮ দশমিক ৬০ ভাগ শিশু অপুষ্টির শিকার, ২৮ দশমিক ৩৬ ভাগ শিশু ওজনে বেশি এবং ৩৩ দশমিক ০৪ ভাগ শিশু স্বাভাবিক শিশু হিসেবে চিহ্নিত হয়। এছাড়া ৭২ জন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশু চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব শিশুর সুস্থতায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।

ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের এ জরিপ থেকে প্রতীয়মান হয় যে নগরীর বস্তি এলাকায় পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তাদের অধিকাংশ অপুষ্টি কিংবা বেশি ওজনের হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। এ থেকে বোঝা যায় নগরীতে এখনো শিশুরা জেন্ডার বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

এছাড়া ৩০০ জন অভিভাবকের ওপর শিশুর পুষ্টিকর খাবার প্রদানের বিষয়টি নিয়ে জরিপ করা হলে, তারা বেশির ভাগই এসব বিষয়ে জানেন না বলে তথ্য উঠে এসেছে। তবে জরিপের শুরু এবং শেষে শিশুর অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, সচিব উম্মে ফাতিমা, সেভ দ্য চিলড্রেনের জনস্বাস্থ্য তথ্যবিদ ডা. পলাশ কুমার রায় প্রমুখ।