নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরাগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। পুলিশ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পায় ক্যামেরাগুলো নষ্ট। সিসি ক্যামেরায় রাজধানীতে যথাযথভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কিংবা প্রতিরোধ হচ্ছে না। বরং অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সিসি ক্যামেরা বিশেষ ভূমিকা রাখলেও অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছে। কোথাও আবার কাজই করছে না। দেখা গেছে অপরাধের ঘটনাস্থল বা আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে আছে। ফলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেগ পোহানোর পাশাপাশি অপরাধও ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রায় দেড় যুগ আগে রাজধানীর ৫৯ সংযোগ ও প্রবেশমুখে ১৫৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর যেতেই সেগুলো বিকল হয়ে পড়ে। এবার নতুন করে ৬২৫টি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। তার আগে গুলশান, বারিধারা, নিকেতন ও বনানী এলাকায় এক হাজার ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। কিন্তু আগের স্থাপিত বহু সিসি ক্যামেরা গাছপালা, লতাপাতা ঘিরে আছে। কোনোটির ওপরের অংশ (ঢাকনা) ভেঙে গেছে। অকেজো হয়ে আছে গুলশান, বারিধারা, নিকেতন, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকার ক্যামেরা। অভিযোগ সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপনের পর রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলে চলে।
সূত্র জানায়, রাস্তায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট থাকায় অপরাধ তদন্ত সংশ্লিষ্টরা অপরাধের ফুটেজ পেতে ভোগান্তিতে পড়ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক পয়েন্টেই সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও অনেক ক্যামেরায় এক সেকেন্ডের জন্যও কোনো দৃশ্যধারণ হয়নি। মূলত বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। ফলে অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরাগুলো নষ্ট। বর্তমানে রাজধানীতে নামমাত্র বহু সিসি ক্যামেরা আছে। কিন্তু অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিসি ক্যামেরার ধরন, বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়া জরুরি। পাশাপাশি কোন অবস্থানে ক্যামেরাটি লাগানো হয়েছে তার ওপরও ফলাফল নির্ভর করে। বর্তমানে থাকা কিংবা আগামী দিনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা বা তা দিয়ে কী উপকার হচ্ছে সে বিষয়ে সার্বিক পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল আসাদ জানান, রাজধানীজুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানের বসানো ক্যামেরাগুলো অত্যাধুনিক। তিন ধরনের ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- বুলেট ক্যামেরা, জুম ক্যামেরা এবং অটোমেটিক নম্বর প্লেট রিডার (এএনপিআর) ক্যামেরা। রাজধানীতে প্রথমবারের মতো এমন শক্তিশালী ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। অপরাধ দমন এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন রুখতে ওই ক্যামেরা সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ