নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার রাজধানীতে অস্থায়ী পশুর হাট বসছে। শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে এসব হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু একদিন আগেই শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুই সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। সরেজমিনে কয়েকটি হাট ঘুরে এমনটা দেখা গেছে।
এর মধ্যে মেরাদিয়া আফতাবনগর হাটে সকাল থেকে অনেক গরু বিক্রি হতে দেখা যায়। সেখানে হাসিল ঘরে পশুর বিক্রির হাসিলও আদায় হচ্ছিল যথাযথভাবে। এ বিষয়ে সেখানকার ইজারাদারের পক্ষে নিযুক্ত হাট ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ক্রেতা আসছে। ব্যাপারিদের অনুরোধে আমরা বিক্রি শুরু করেছি। তবে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে কাল (আজ শনিবার) থেকে। তিনি বলেন, টুকটাক কিনলেও আমরা তো আর হাসিল ছাড়া দিতে পারি না।
রাজধানীর বেশিরভাগ হাটেই শুক্রবার বিক্রি হয়েছে। এদিকে ওই হাটে নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে আসা ব্যাপারি সুমন মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার এ হাটে কমবেশি গরু বিক্রি হয়েছে। আমরা ২৭ পিস গরু এনে ইতোমধ্যে চারটি বিক্রি করেছি। এই হাটের ইজারাদাররা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত হাটে প্রায় ১১ হাজার গরু এসেছে। শেষ মুহূর্তে গরু আসার পরিমাণ আরও বেড়েছে। শনিবারের আগে প্রায় ১৫ হাজার গরু এই হাটে পৌঁছাবে বলে তাদের ধারণা। তবে এ পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বেশ কম। এদিকে গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন, নামাজ শেষে বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-দর্শনার্থী আসতে দেখা গেছে।
অল্পসংখ্যক মানুষ কেনার জন্য এলেও দর্শনার্থী বেশি ছিল। হাট ঘুরে দেখা যায়, ব্যাপারিরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যে কিছু ক্রেতা আসছেন। টুকটাক তাদের সঙ্গে কথা সেরে আবারও গরু প্রস্তুতে মনোযোগ দিচ্ছেন। অন্যদিকে ইজারাদাররাও শেষ সময় হাট প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত। বিভিন্ন হাটে করোনার স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রচারণা শোনা গেছে। তবে বাস্তবে খুব একটা সতর্ক দেখা যায়নি ব্যাপারি ও আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে সেসব বিষয়ে উদাসীনতা রয়েছে। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রবেশপথ এবং বহির্গমন পথ পৃথক করার কথা থাকলেও তেমন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, মাস্ক ব্যবহার করার প্রবণতাও চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক