প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে প্রায় এক হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। ২৬টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) জন্য।
এসময়, প্রধানমন্ত্রী ৩৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় যোগ দিয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যে আছে, ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তথ্য কমপ্লেক্স, আট কোটি ৩৫ লাখ টাকার আঞ্চলিক পিএসসি অফিস ভবন, ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৬২ কোটি টাকার বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ওয়াসা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃক নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিংয়ে প্রায় পাঁচ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৮ ফুট উচ্চতার ম্যুরাল।
এছাড়া শেখ রাসেল শিশু পার্ক, মোহনপুর রেলক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার, ভাদরা রেলক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ চার লেনের সড়ক ও রোড ডিভাইডার, বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে সিটি হাট পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ চার লেনের সড়ক ও রোড ডিভাইডার নির্মাণ, সড়ক প্রশস্তকরণসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সিটি করপোরেশন। কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারি ক্রসিং পর্যন্ত উন্নয়ন এবং রেন্টুর খড়ির আড়ত থেকে হাইটেক পার্ক হয়ে ধলুর মোড় পর্যন্ত সড়ক কার্পেটিং, ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ এবং কোর্ট থেকে শাহারতলী ক্লাব পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ।
বিনোদন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য বিনোদনে নতুন দিগন্তের সূচনা করার লক্ষ্যে চার কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ছোটবনগ্রামে দুই দশমিক ১৪ একর জমির ওপর নির্মিত শেখ রাসেল শিশু পার্কের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পুঠিয়া থেকে বাগমারা পর্যন্ত একটি মহাসড়ক নির্মাণ করেছে।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলা থেকে দশম তলা পর্যন্ত উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।
২০ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তর নির্মাণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।
মোহনপুর উপজেলায় ২২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রায় ২২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী শিশু হাসপাতালও স্থাপন করা হয়েছে।
প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
রাজশাহীতে প্রায় ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বহুতল সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে।
রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়তলা ফাউন্ডেশনের ওপর দুইতলা মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে।
চারঘাটে প্রায় ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রায় আট কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বহুমুখী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া চার কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে বাম তীর রক্ষায় প্রায় ৬৯৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পল্লী সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি সড়ক নির্মাণ করছে।
রাজশাহী পিটিআইতে আট কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বহুমুখী মিলনায়তন নির্মাণ করা হয়েছে।
রাজশাহী শহরে দুই কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২