অনলাইন ডেস্ক :
বার্সেলোনা কোচ হিসেবে শাভি এরনান্দেসের মধুচন্দ্রিমা শেষ। সংসারের নানা টানাপোড়েন এখন তিনি টের পাচ্ছেন। গায়ে লাগছে কঠিন বাস্তবতার আঁচ। তবে পরিবারের কর্তা হিসেবে তো হাল ছাড়লে চলে না। বিধ্বস্ত মনোবলের দলকে তাই উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন তিনি। হতাশায় ভরা মৌসুমের শেষ প্রান্তে এসেও অনেক প্রাপ্তির হাতছানি দেখছেন বার্সেলোনা কোচ। শাভি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই লা লিগার শিরোপা লড়াই থেকে অনেকটা দূরে সরে যায় বার্সেলোনা। তার কোচিং অধ্যায় শুরুর পরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্যায় থেকেও বাদ পড়ে দল। তবে কোচ হিসেবে তিনি বেশ দ্রুতই গুছিয়ে নেন নিজেকে, দলকেও গোছাতে শুরু করেন। লিগে দারুণ ফুটবল খেলে টানা জয় পেতে থাকে দল। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দেয় তারা ৪-০ গোলে। ইউরোপা লিগেও শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। সাময়িক সেই সুসময়ের পর আবার হানা দেয় কঠিন দুঃসময়। ঘরের মাঠেই অবিশ্বাস্যভাবে টানা তিন ম্যাচে হেরে যায় বার্সেলোনা। কোনোটিই খুব প্রতিষ্ঠিত শক্তির দলের বিপক্ষে নয়। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে হেরে। এরপর লিগে কাদিসের কাছে হার। সেই পরাজয়ের ক্ষত দগদগে থাকতেই রোববার হেরে বসে রায়ো ভাইয়োকানোর বিপক্ষে। গত অক্টোবরে এই ভাইয়োকানোর বিপক্ষে হারের পরই কোচের পদ থেকে ছাঁটাই করা হয় রোনাল্ড কুমানকে। শাভির এখনই চাকরি হারানোর ভয় নেই। তবে লিগে শেষ ৫ ম্যাচের সম্ভাব্য চিত্র ভেবে তিনি শঙ্কিত, পরের মৌসুমে তার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে কিনা। “আমার মনে হয়, অন্তত সমতা ফেরানোর পরিষ্কার কিছু সুযোগ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। সেসব কাজে লাগিয়ে সমতায় ফিরতে পারলে ম্যাচও জিততে পারতাম। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে নিজেদেরকে জটিল অবস্থায় ফেলে দিলাম নিজেরাই।” ৩৩ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে রিয়াল মাদ্রিদ। লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে শেষ ৫ ম্যাচ থেকে তাদের প্রয়োজন ¯্রফে ১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা। সেভিয়ার পয়েন্টও ৬৩, চারে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬১। রিয়াল বেতিস পাঁচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে। আপাতদৃষ্টিতে তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা নিয়ে শঙ্কা ততটা চোখে পড়ছে না। তবে এভাবে হারের বলয়ে থাকলে তো দুর্ভাবনার জায়গা থাকেই! তাছাড়া দলকে রানার্স আপ হতেও দেখতে চান শাভি। “আমি জানি, দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই করা সমর্থক ও ফুটবলারদের জন্য খুব প্রেরণাদায়ক কিছু নয়। তবে আমাদেরকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থাকতে হবে। পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ওই বাজনা আমরা শুনতে চাই।” “এখনও অনেক পাওয়ার আছে। বার্সেলোনার ইতিহাস হলো সেরা হওয়ার লড়াই। তবে আমাদেরকে বাস্তবতা বুঝতে হবে এবং দ্বিতীয় হওয়ার জন্য নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা