নিজাম উদ্দিন লাভলু, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌর সভার নির্বাচনে মঙ্গলবার (২রা নভেম্বর) সকাল হতে শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা হতে ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৯টি কেন্দ্রে ৯জন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত ছিল। এটা রামগড় পৌরসভার ৪র্থতম নির্বাচন। এবার আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও রামগড় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: রফিকুল আলম কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ৬ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মো: শামীমও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে বর্তমানে ৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৬জন এবং ৩টি সংরক্ষিত (নারী) ওয়ার্ডে ৯জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভার মোট ভোটার ২০ হাজার ৮৮৬জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৮৬১ জন ও নারী ভোটার ১০০২৫ জন। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বনিক বলেছেন, শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোটারদের ভোট দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ন্যুন্যতম শৈথ্যলতা দেখানো হবে না। অন্যদিকে, খাগড়াছড়ির জেলা পুলিশ সুপার মো: আব্দুল আজিজ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে কঠোর ভুমিকায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে, প্রথমবারের মত এখানে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থার কারণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে দু:শ্চিন্তার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ও নারী ভোটাররা অচেনা- অজানা এ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ভোট দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ কারণে ভোট কাস্টিং হচ্ছে খুবই ধীর গতিতে। তবে প্রিজাইডিং অফিসাররা বলেছেন, সমস্যা গ্রস্ত সঠিক নিয়মে ভোট দিতে তারা সহায়তা করছেন। রির্টানিং অফিসার মো: সাইদুর রহমান বলেছেন, দু:শ্চিন্তার কারণ নেই। ভোটারদের সঠিকভাবে ভোট দেয়ার জন্য প্রিজাইিিডং ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদের আগেই হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা ভোটারদের সহায়তা করছেন ।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হলেও ভোটের আমেজ উত্তাপে কমতি নেই। প্রতিটি ওয়ার্ডেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের। এক বা একাধিকবার নির্বাচিত বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি প্রার্থীরা বিগত সময়ের নিজের ভুলত্রুটি, অনিয়ম, দুর্নীতি, কুকীর্তি সামালে ভোটারদের পুনরায় মনগলানোর চেস্টায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন। ভোটাররাও প্রার্থীদের চুলছেঁড়া মূল্যায়ন করে ভোট দিচ্ছেন। বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে কোন কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে টাকা-পয়সা দেয়ার অভিযোগ শুনা গেছে। # # #
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি