তবে স্বজনদের জন্য দুঃশ্চিন্তা ভর করেছে কর্মরত রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়দের মধ্যে
আবুল কালাম আজাদ :
পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্পে প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি রাশিয়ান ও ইউক্রেন নাগরিক কর্মরত আছেন। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কর্মক্ষেত্র রুপপুর পারমানবিক প্রকল্পে কোনো প্রকার প্রভাব না পড়লেও তাদের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা ভর করেছে। উভয় দেশের নাগরিকেরা যুদ্ধকে মনে প্রাণে ঘৃণা করেন। কারন যুদ্ধ কখনই ভালো কিছু এনে দেয় না।
রাশিয়ার সরকারী পরমানু সংস্থা রোসাটোমের সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি রাশিয়ান ও ২৫০ জন ইউক্রেনিয়ান এবং বেলারুশের বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কাজ করছেন। চলমান রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে কোন প্রভাব পড়েনি। তারা মিলেমিশে কাজ করছেন। উভয় দেশের নাগরিকই যুদ্ধের বিরুদ্ধে, যুদ্ধকে তারা ঘৃণা করেন। যুদ্ধ কখনই ভালো কিছু এনে দিবে না। বরং যুদ্ধ সবার জন্যই ক্ষতিকর। যুদ্ধের কারনে আর্থিকভাবে তারা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তারা বাংলাদেশে ভালো আছেন। তাদের পরিবার পরিজনও রাশিয়া ও ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তবে মাঝে মধ্যে চিন্তা তো লাগেই। তারা আশা করছেন স্বল্প সময়ের মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনে আবার শান্তি ফিরে আসবে।
রুপপুর পারমানবিক প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নাগরিক ডিমা ও ইউক্রেনিয়ান নাগরিক স্লাভা বলেন, যুদ্ধকে তারা ঘৃণা করেন। তারা বাংলাদেশে ভারেঅই আছেন। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনে স্বজনদের জন্য মাঝে মধ্যে চিন্তা হয়। চলমান যুদ্ধে তারা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। আশাকরি যুদ্ধ স্বল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে উভয় দেশেই শান্তি ফিরে আসবে।
রুপপুরে স্থানীয় ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন, রেজা মিয়া, অলিদ মিয়াসহ অনেকেই জানান, রুপপুরে কর্মরত রাশিয়ান ও ইউক্রেন নাগরিকেরা কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক থাকলেও আজ ২/৩ দিন হলো তাদের মধ্যে একটা দুঃশ্চিন্তার ছাপ লক্ষ্য করছি। তারা রুম থেকে এখন একটু কম বের হচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন যুদ্ধের কারনে দেশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য একটু চিন্তায় রয়েছেন। এজন্য তাদের বেচাকেনাও কম হচ্ছে।
রুপপুর পারমানবিক প্রকল্পের বিভাগীয় প্রধান (অর্থ ও প্রশাসন) অলোক চক্রবর্তী জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে এখানে কোন প্রভাব পড়েনি। রাশিয়া, ইউক্রেন, রবলারুশসহ ১৬টি দেশের নাগরিক এখানে ঠিক আগের মতই স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। তাদের মধ্যে সৌহার্দ বজায় রয়েছে।
তবে যুদ্ধ সবার জন্যই ক্ষতিকর। তাই উভয় দেশই যুদ্ধ পরিহার করে শান্তির পতাকা তলে আসবেন বলে মনে করেন এখানকার দেশী ও বিদেশী নাগরিকেরা।
আবুল কালাম আজাদ
পাবনা প্রতিনিধি
০৬ মার্চ/২২মোবাইল-০১৭১৫-৪৫৩০১৯।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি