অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ঠেকানোর আশা এখনো শেষ হয়নি। কূটনৈতিক আলোচনা ও সমাধানের সুযোগ এখনো আছে। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ৪০ মিনিটের এক ফোনালাপে এসব কথা উঠে আসে। খবর বিবিসির। তারা বলেছেন, সম্ভাব্য রুশ হামলার বিষয়ে একটি কূটনৈতিক চুক্তি এখনো সম্ভব। ফোনালাপে তারা বলেন, রাশিয়াকে সরাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনার পথ ছিল। রুশেরা যদি সত্যিই ইউক্রেনের জন্য হুমকি হয় এবং হামলা চালায় তাহলে উভয়পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে রাশিয়া বেশি সংকটে পড়বে। আলাপকালে জনসন বলেন, যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত ছিল। প্রত্যুত্তরে বাইডেন বলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কিছুই করতে পারি না। এ পরিস্থিতে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একটি আলোচনা সভায় বসার কথা রয়েছে বরিসের।এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ‘মারাত্মক উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস। গত সোমবার তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র স্টেফেন ডিজেরিক। ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে বলছেন, রাশিয়া অনেকদিন ধরে তার দেশকে হুমকি দিলেও যেকোনো মুহূর্তে মস্কোর হামলার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে প্রকাশ করছে পশ্চিমা মিত্ররা। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ইউক্রেনে জাতিসংঘের এক হাজার ৬৬০ কর্মী রয়েছে। এরমধ্যে ২২০ জনই অন্য দেশের নাগরিক। ডিজেরিক বলেন, সেসকল কর্মীদের প্রত্যাহার বা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন সংকট ও মিনস্ক চুক্তির ওপর একটি বার্ষিক সভা করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু