November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, February 25th, 2022, 7:37 pm

রাশিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল

অনলাইন ডেস্ক :

গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে প্রায় নিশ্চিতই ছিল বিষয়টি। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। সেটিও হয়ে গেল এবার। ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণের পর সেন্ট পিটার্সবুর্গ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটির ২০২১-২২ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি এখন হবে প্যারিসের জাতীয় স্টেডিয়ামে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রা সংস্থা উয়েফা শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আগামী ২৮ মে ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে ঠিক করা হয়েছিল সেন্ট পিটার্সবুর্গের ক্রেস্তোভস্কি স্টেডিয়ামকে। স্পন্সরশিপ-সংক্রান্ত কারণে মাঠটি গাজপ্রম অ্যারেনা নামেই বেশি পরিচিত। রুশ গ্যাস কোম্পানি গাজপ্রম একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরো ২০২৪ আসরের স্পন্সরও। ‘বিরল সংকটের’ এই সময়ে ফাইনাল প্যারিসে সরিয়ে নিতে তার ‘ব্যক্তিগত সমর্থন ও প্রতিশ্রুতির জন্য’ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে উয়েফা। আগে থেকে নির্ধারিত শুক্রবারের বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের ক্লাব ও জাতীয় দলকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের হোম ম্যাচগুলো ওই অঞ্চলের বাইরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার নির্দেশও দিয়েছে উয়েফা। এই মৌসুমে একমাত্র রাশিয়ান দল হিসেবে এখনও ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় টিকে আছে স্পার্তাক মস্কো। ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয় উঠেছে দলটি। শুক্রবারের ড্রয়ে জানা যাবে তাদের প্রতিপক্ষ। রাশিয়া ও ইউক্রেইন উভয়েরই মার্চে বিশ্বকাপের প্লে-অফের ম্যাচ আছে। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা এই অঞ্চলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আগামী ২৪ মার্চ পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার কথা রাশিয়ার। যদি রাশিয়া ম্যাচটি জেতে তাহলে সেখানেই ২৯ মার্চ তারা সুইডেন অথবা চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে খেলবে। ২৪ মার্চ ইউক্রেইনের খেলার কথা আছে স্কটল্যান্ডের মাঠে। ইউক্রেইনে হামলার পর এরইমধ্যে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজনের বিরোধিতা করেছে পোল্যান্ড, সুইডেন ও চেক রিপাবলিক। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে পথে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে রুশ বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো দেশ একই মহাদেশের অন্য দেশে এত বড় আক্রমণ চালায়নি।