অনলাইন ডেস্ক :
জয়ে ধারা অব্যাহত রেখেছে বসুন্ধরা কিংস। লিগের দ্বিতীয় পর্বে টানা ষষ্ঠ ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্কার ব্রুজোনের দল। রোববার কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেলকে ক্রীড়া চক্রকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে কিংস। রাসেলের হয়ে গোল করেন আইজার আখমাতোভ ও মান্নাফ রাব্বি। কিংসের হয়ে গোল করেন মিগেল, খালেদ শাফিই ও রবসন রবিনহো। ম্যাচ জুড়েই ছড়িয়েছে রোমাঞ্চ। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে চলেছে দুই দলের লড়াই। বদলে যাওয়া শেখ রাসেল চোখে চোখ রাঙিয়ে কিংসের সঙ্গে লড়াই করেছে। গত ম্যাচে জয় পাওয়া রাসেল এ দিন সুযোগ তৈরি করে এগিয়েও যায়। যদিও আক্রমণে ধার বাড়িয়ে প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা আক্রমণাত্মক ছিল কিংসের কিন্তু পর পর দুটি সুযোগ নষ্ট করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি। অবশ্য কিংসকে আটকে রাখতে পারেনি রাসেলের রক্ষণভাগ। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। ২০ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি তৈরি করে কিংস। বিপলুর সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে বক্সে ঢুকে পড়েন রবসন রবিনহো কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানকে শট নিতে দেননি রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। দুই মিনিট বাদে আবারও সুযোগ নষ্ট হয় কিংসের। মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন নুহা মারং, বক্সের অন্য প্রান্তে ফাঁকায় ছিলেন মিগেল ও রবিনহো কিন্তু এই গাম্বিয়ান সতীর্থের দিকে বল না বাড়িয়ে পোস্টে শট নিলে তা আটকে দেন আশরাফুল রানা। পরের মিনিটেই ¯্রােতের বিপরীতে প্রতি আক্রমণে গিয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেয় শেখ রাসেল। বক্সের মধ্যে রিচার্ড গাডজেকে ফেলে দেন বিশ্বনাথ ঘোষ, সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সাইমন সানি। স্পট কিকে শেখ রাসেলকে এগিয়ে নেন আইজার আকমাতোভ। চলতি লিগে এটি তার ষষ্ঠ গোল। শেখ রাসেলের জার্সিতে যা সর্বোচ্চ। সমতায় ফিরতে খুব একটা সময় নেয়নি কিংস। মিগেলের গোলে ৩৮ মিনিটে ম্যাচে ফিরে আসে বসুন্ধরা কিংস। রবসন রবিনহোর বাড়ানো পাসে বক্সের উপর থেকে বাম পায়ের মাপা শটে পোস্টের উপরের দিকে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয় লেগে দলে যোগ দেয়ার পর এটি তার সপ্তম গোল। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল রাসেলের সামনে কিন্তু ৪৪ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন মোহাম্মদ জুয়েল। কিংসের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে টাচলাইনের উপর থেকে নাইজেরিয়ান ইসমাহিল আকিনাদের কাটব্যাক গোলমুখ থেকে জালে জড়াতে পারেননি জুয়েল, বল মারেন পোস্টের উপর দিয়ে। ৫১ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ গোলে পরিণত করতে পারেননি বিপলু আহমেদ। নুহা মারংয়ের থ্রু পাস রাসেলের তিন ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন বিপলু, তার সামনে শুধুই ছিলেন গোলকিপার আশরাফুল রানা কিন্তু এই অভিজ্ঞ গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারেননি কিংসের এই মিডফিল্ডার। পোস্ট ছেড়ে খানিকটা সামনে এসে বিপলুর শট ঠেকিয়ে দেন রানা। ৬০ মিনিটে আরও একবার হতাশায় ডুবান বিপলু ও রবিনহো। আবারও রাসেলের বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন বিপলু, গোলের উদ্দেশ্যে তাঁর নেওয়া শট দারুণ স্লাইডিংয়ে আটকান রহমত মিয়া। ফিরতি বল বিপলু ঠেলে দেন রবিনহোর দিকে, কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ান’ও বল জালে পাঠাতে পারেননি। অবশ্য ৬৫ মিনিটে আর ভুল করেননি খালেদ শাফিই। মিগেলের ফ্রিকিক নুহা মারং মাথা লাগালেও আশরাফুল রানা গায়ে লেগে ফিরলে বল পান খালেদ, দেখে শুনে ডান পায়ের শটে জালে পাঠান ইরানি এই ডিফেন্ডার। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে কিংস। মিগেলের বাড়ানো পাসে বক্সের কোনা থেকে রবসন রবিনহো দূরের পোস্টে জালে জড়ান। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে যোগ তিন মিনিটে বদলি নামা মান্নাফ রাব্বির গোলে শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে রাসেল। ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম অবস্থানেই থাকল শেখ রাসেল।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা