November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, May 27th, 2022, 8:07 pm

‘রিয়াল এগিয়ে থাকলেও ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয়’

অনলাইন ডেস্ক :

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ আরও একটি শিরোপার খুব কাছে দাঁড়িয়ে। সবশেষ সাতবার ফাইনালে উঠে যারা প্রতিবারই হেসেছে সাফল্যের হাসি। সংখ্যাটা কি আরও বাড়বে এবার? দলটির ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতায় নিজেদের এগিয়ে রাখছেন ঠিকই; তবে একই সঙ্গে ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয় বলেই মনে করেন তিনি। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে শনিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে মুখোমুখি হবে স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংল্যান্ডের লিভারপুল। ২০১৪ সাল থেকে ধরলে এ নিয়ে পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে রিয়াল। ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতাটির নামকরণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হওয়ার পর রিয়াল কখনও ফাইনালে হারেনি। ১৯৯৮ সাল থেকে যে সাতবার ফাইনালে উঠেছে দলটি, প্রতিবারই পেয়েছে শিরোপার স্বাদ। সবশেষ রিয়াল শিরোপা জেতে ২০১৮ সালে। সেবার কিয়েভের ফাইনালে তারা হারিয়েছিল লিভারপুলকেই, ৩-১ ব্যবধানে। এবার শিরোপা জিতলে সর্বাধিক শিরোপার রেকর্ডটা ১৪-তে নিয়ে যাবে দলটি। সব মিলিয়ে রিয়ালের জন্য এই মঞ্চ খুব চেনা। বিটি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপচারিতায় মদ্রিচের কণ্ঠেও শোনা গেল তাই। “এই প্রতিযোগিতায় আমাদের অবশ্যই বেশি অভিজ্ঞতা আছে। কিছু খেলোয়াড় চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলেছে। আমরা সৌভাগ্যবান যে এখন পঞ্চম ফাইনাল খেলতে যাচ্ছি। সব মৌসুমের মতো এবারও আমাদের স্বাভাবিক থাকতে হবে।” “ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয়। লিভারপুল দুর্দান্ত দল, তারা দারুণ একটা মৌসুম কাটাচ্ছে। দুটি কাপ টুর্নামেন্ট জিতেছে তারা, লিগে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেৃ কেউ ফেভারিট নয়, কিন্তু আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী।” জিনেদিন জিদানের কোচিংয়ে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের রেকর্ড গড়ে রিয়াল। এখন দলটির ডাগআউটে কার্লো আনচেলত্তি। ২০১৪ সালে তার কোচিংয়েই প্রতিযোগিতাটিতে দশমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। রিয়ালকে আবারও ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতার ফাইনালে আনতে আনচেলত্তি দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনেননি বলে জানালেন মদ্রিচ। সেই সঙ্গে বর্ষীয়ান এই কোচকে প্রসংশায়ও ভাসালেন তিনি। “তিনি (আনচেলত্তি) একই রকম। আমরা তার সম্পর্কে যেটা পছন্দ করি তা হলো তার ব্যক্তিত্ব, তার ন¤্রতা, খেলোয়াড়দের সঙ্গে যেভাবে তিনি কথা বলেন।” “যখন পাশে তার মতো একজন মানুষ থাকবে, তখন সবাই মাঠে আরও উজাড় করে দিতে চাইবে। তার জন্য আরও বেশি দিতে চাইবে। এজন্যই কার্লো বিশেষ কোচ, এখনও বিশ্বের সেরাদের একজন। তার মানবিক দিকটি সেরা। এটা আমরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি এবং এই দলের জন্য যা সবচেয়ে সেরা।”