অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএল ফাইনালে শেষ ২৪ বলে ৫২ রান প্রয়োজন ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। কিন্তু আগের তিন ওভারে ১৬ রান দেওয়া রুবেল হোসেন নিজের শেষ ওভারে দিলেন ২৩ রান! তাতে ম্যাচও ঝুঁকে যায় কুমিল্লার দিকে। ১৮ বলে বাকি ২৯ রান অনায়াসেই তুলে নেয় ইমরুল কায়েসের দল। লিটন দাসের পর জনসন চার্লসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ বল আগে ৩ উইকেট হারিয়ে শিরোপা জয়ের মাতে দলটি। সিলেটের পরাজয়ে রুবেলের পরিকল্পনাহীন বোলিং ভূমিকা রাখলেও তাকে ভিলেন বানাচ্ছেন না সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি। উল্টো দলকে ম্যাচে ফেরানোর কৃতিত্ব দিয়েছেন এই পেসারকেই। অবশ্য মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে লিটনকে বিদায় করে ম্যাচটি হাতের মুঠোয় এনে দিতে অবদান ছিল এই রুবেল হোসেনের। সেই বোলারই নিজের শেষ ওভারে ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন। জনসন চার্লস ২ চার ও ১ ছক্কায় এবং মঈন আলী ১ ছক্কায় এলোমেলো করে দেন তার শেষ ওভার। রুবেল ২৩ রান দেওয়ায় ওই ১৭তম ওভারে শিরোপাও হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবে রুবেলের করা ১৭তম ওভার নিয়ে প্রশ্ন উঠলো। তবে রুবেলের ওই ওভার নিয়ে কোনো অভিযোগ করলেন না সিলেটের অধিনায়ক। বরং সতীর্থের পাশে থেকে তার প্রশংসাই করেছেন মাশরাফি, ‘ওই সময়ে প্রতি ওভারে ১৩ রান করে লাগত। যেটা কঠিন। ফাইনালের মতো ম্যাচে ৪ ওভারে ৫২ রান কিন্তু কঠিন। ওই সময়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। একটা ছয়-চার ওই সময়ে হতে পারে। কিংবা দুইটাও হতে পারে। কামব্যাকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করত না পারলে এই ধরণের বিষয় হতে পারে।’ শুধু প্রশংসাই করে সীমাবদ্ধ থাকেননি মাশরাফি। দারুণ ব্যাটিং করা লিটনকে ফিরিয়ে সিলেটকে ম্যাচে ফেরানোর সবটুকু কৃতিত্ব রুবেলকে দিয়েছেন তিনি, ‘আমি মনে করি রুবেলই আমাদেরকে ম্যাচে ফিরিয়েছে। একটা ওভার এদিক-ওদিক হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ওখানে যেই বোলিং করবে এরকম একটা ওভার হলে ম্যাচটা বেরিয়ে যাবে। আমাদের দিনের সবচেয়ে সেরা বোলার ছিল রুবেল। ওই সময়ে এমন একটা ছিল হয় রুবেল নাহয় থিসারা পেরেরা, নাহয় সাকিব বোলিং করবে।’ মাশরাফির মতে ডেথ ওভারে রুবেলের জায়গায় অন্য কেউ হলেও মার খেতে পারতো, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম সাকিব শেষ দিন ওভার দ্য উইকেট থেকে বোলিং করেছে, আজকেও ভালো বল করবে। কারণ বল গ্রিপ হচ্ছিল। এপাশ দিয়ে যেহেতু একটু ছোট সাইজ ছিল তাই সেরা বোলারকে দিয়ে বোলিং করানো ছাড়া কোনো উপায়ও ছিল না। শুধু রুবেল না যে কেউ আসলে ওই সময়ে ওরকম বোলিং করলে তখন আলটিমেটলি ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়। যে কারো ক্ষেত্রেই হতে পারে।’ পেশাদার ক্রিকেটে ১৫ বছর কাটানোর পরও ডেথ ওভারে অনিয়ন্ত্রিত বোলিং কেন? এমন প্রশ্নেও রুবেলের হয়ে ব্যাট ধরলেন মাশরাফি, ‘এটা নির্ভর করে আসলে। সত্যি বলতে রুবেল কিন্তু আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছেৃ।’ আগের ম্যাচে তিন ওভার বোলিং করলেও কোটা পূরণ করতে পারনেনি মাশরাফি। গত বৃহস্পতিবার ৬ বলে যখন ৩ রানের প্রয়োজন হয়, তখন বোলিংয়ে আসেন চারবার বিপিএলের শিরোপা জেতা অধিনায়ক। নিজের বোলিংয়ে না আসার কারণ জানিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘আগের দিন দুই ওভার করার পর তৃতীয় ওভার করার প্রয়োজন ছিল বলে করতে এসেছি। তৃতীয় ওভার করার সময় বুঝেছি ইনজুরি হবার সুযোগ আছে। তবু দলের প্রয়োজনে এসেছিলাম। কিন্তু একেবারে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনজুরি। আজকে উইকেটটা স্টিকি ছিল। হয়তোবা বোলিং করতে পারলেৃভালো খারাপের কথা তো কেউ বলতে পারবে না। করলে সুবিধা হতো আর কি।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা