November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 4th, 2023, 7:29 pm

রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা

খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের শ্রীরামপুর, নৈহাটি, নিহালপুর, কিসমত খুলনাসহ কয়কটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক চর শ্রীরামপুর বেড়িবাঁধ নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় দুশ্চিন্তা ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

চর শ্রীরামপুর বিলে প্রায় ৫২৫ হেক্টর জমি আছে। পাঁচ শতাধিক কৃষক এ সকল জমি আবাদ করে নানারকম ফসল ফলিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করে থাকে।

এই বিলের যে জমি, জানা যায় তা অত্যন্ত উর্বর। এ সকল জমিতে বছরে তিনবার ফসল হয়। এ অঞ্চলের কৃষকরা সুখে শান্তিতে জমিগুলো আবাদ করে বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল ও ধান চাষাবাদ করে হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছিল।

কিন্তু তিন বছর আগে রূপসা নদীর ভাঙনে শ্রীরামপুর পালপাড়া থেকে ইদ্রিস জমাদ্দারের ইটের ভাটা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে পড়ে, ফলে ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়ে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও কিছু জটিলতার কারণে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শ্রীরামপুর চরে জমি আছে এমন উপজেলার কৃষক এএইচএম কামাল বলেন, প্রজন্ম ধরে আমরা এই জমি চাষ করে আসছি। এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বাকি ফসল রপ্তানি করা হয়। তিন বছর আগে শুরু হওয়া নদী ভাঙনের কারণে আমরা চরম উদ্বেগের মধ্যে আছি।

তিনি আরও বলেন, নদীর পানি ফসলি জমিতে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করতে পারে বলে আমরা সব সময় আশঙ্কা করি। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর কাছে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এলাকার কৃষকদের বাঁচানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল বলেন, এই এলাকার কৃষকদের জীবনে এই বাঁধের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ভাঙনের কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফসল জমি ধ্বংস হবে এবং খাদ্যের অভাব হবে। তাই এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা খুবই জরুরি বলে মনে করি।

—-ইউএনবি