April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, October 15th, 2021, 8:15 pm

রেলওয়ের সেতু কারখানায় অযত্নে নষ্ট হচ্ছে শত শত কোটি টাকার মেশিন ও মালামাল

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রেলওয়ে সেতু কারখানাটি নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত। কিন্তু জনবল সংকটে অর্ধযুগ ধরে কারখানাটি উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আর বিপুল পরিমাণ লোহার মালামাল ও যন্ত্রপাতি খোলা আকাশের নিচে ইয়ার্ডজুড়ে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে। মাটিতে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় নষ্ট হয়ে গেছে শত শত কোটি টাকার মালামাল ও মেশিনপত্র। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রেলওয়ে সেতু কারখানাটি ১৮৬৫ সালে ১৮ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়। আর ওই কারখানায় তাতে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সব স্টেশনের প্লাটফর্ম সেডের মালামাল, রেললাইনের পয়েন্ট অ্যান্ড ক্রসিং, ব্রিজ গার্ডার, ট্রলি ও মোটর ট্রলি, পানির ট্যাংকি, ফুটওভার ব্রিজের মালামালসহ ২৫ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি এবং মেরামত হতো। কারখানাটিতে রয়েছে মেশিন শপ, পয়েন্টস অ্যান্ড ক্রসিং শপ ও গার্ডার ইয়ার্ড শপ নামে ৩টি উপ-কারখানা। ১৯৯১ সালে বাধ্যতামূলক গোল্ডেন হ্যান্ডশেক ও নিয়মিত অবসরের কারণে ওই কারখানায় এখন ১২৭ মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে মাত্র ৬ জন রয়েছে। তাদের মধ্যে খুব শিগগিরই অবসর যাচ্ছে ২ জন। আর বাকি একজন প্রেষণে পাকশিতে, একজন সহকারী সেতু প্রকৌশলী থাকলেও তিনি অফিসে নিয়মিত নন। বর্তমানে একজন স্টোর কিপার ও একজন কর্মচারী ফাইলপত্র টানাটানি নিয়েই চলছে বিশাল এ কারখানার কাজ।
সূত্র জানায়, বর্তমানে সেতু কারখানার প্লাটফর্ম সেড বা নকশা ঘরটি তালাবদ্ধ। ভেতরে আর্বজনার স্তূপ জমে আছে। পাশে মেশিন সেডটির চিত্রও একই। ইয়ার্ডজুড়ে জঙ্গল ও বড় বড় আগাছা। খোলা আকাশের নিচে অযতেœ মাটিতে পড়ে রয়েছে অ্যাঙ্গেল রড, স্কয়ার রড, কভার প্লেট, মিটার ও ব্রডগেজ লাইনের সেতুর স্পেয়ার গার্ডার। তাছাড়াও তিস্তা ও পাকশি হার্ডিঞ্জ সেতুর পরিত্যক্ত লোহা-লক্কড়, রেললাইন, একটি বিকল স্টিম ক্রেনসহ বিভিন্ন ধরনের লোহার মালামাল মাটির সঙ্গে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর মাটির নিচে চাপা পড়েছে ফ্রাঞ্চ প্লেট ও কভার প্লেট।
এ প্রসঙ্গে সহকারী সেতু প্রকৌশলী জুয়েল মিঞা জানান, জনবল ও কাঁচামালের সংকটে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যেসব মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে তা মেরামত সম্ভব নয়। ওসব কিনতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।