জেলা প্রতিনিধি, রংপুর (মিঠাপুকুর):
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মধ্যে বেশীরভাগ কেন্দ্র গুলিতে কাঙ্খিত সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে মানুষের বাড়ির পাশে আছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র।
নিরাপদ প্রসূতিসেবা, স্বাভাবিক সন্তান জন্মদান ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন ইউনিয়ন স্বাস্হ্য কেন্দ্র ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। কিন্তু কেন্দ্রগুলো থেকে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না সংশিষ্ট এলাকাবাসীরা। লোকবল সংকট, নিয়মিত স্বাস্হ্যকর্মী না আসা,আসলেও সময় মত উপস্থিত না হওয়া সহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় সেবাকেন্দ্রগুলো নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতী এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে স্বাস্থ্যকর্মী আছে মিডওয়াইফ শিল্পী রাণী বর্মণ থাকলেও নেই কোন ডেলিভারী সুবিধা।তিনি বলেন, শুধু বসে বসে বেতন নেওয়া হচ্ছে কিন্তুু আমার কোন কাজ নেই এখানে। ২০১৮ সালের আগে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেত বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি পরিত্যাক্ত বেড থাকলেও বেডশীট নেই।গরম পানি করার কোন ব্যবস্থা নেই,নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরন্জাম। গত পাঁচ বছরেও নেই কোন ডেলিভারী রেকর্ড। স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, আরিফ মিয়া ও বিপ্লব মিয়া ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট অফিসের একজন কর্মচারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে ইমাদপুর ইউনিয়নের ফরিঙ্গা ব্রীজ সংলগ্ন উপ স্বাস্হ্য কেন্দ্রটিতে নেই কোন চিকিৎসা সেবা। অভিযোগ রয়েছে মাঝে মাঝে একজন পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মী ও একজন নারী পিয়ন আসলেও দরজা বন্ধ করে দুইজন বসে থাকে। প্রতিজন সেবা প্রত্যাশীর কাছে পাঁচ টাকা করে নিয়ে থাকেন তারা। ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য হারুন অর রশীদ এর কথায় সত্যতা মিলেছে। তবে সেবার দরজা বন্ধ রাখা ও পাঁচ টাকা করে নেওয়ার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির কথামত করছেন বলে জানিয়েছেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মাহমুদ হাসান।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো খোলা থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ কেন্দ্রই নির্ধারিত সময়ের পর খোলা হয় এবং সময়ের আগেই তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কেন্দ্রগুলি স্থাপন করলেও স্থানীয় মানুষের পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় আশানুরূপ সুবিধা পাচ্ছেন না বলে জানান স্থানীয়রা। গ্রামীন জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা,ঔষধ-পত্র ও পরামর্শ প্রদান নিশ্চিত করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা দেখা যায় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ রাশেবুল ইসলাম বলেন,আজকে জানলাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি