নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোজার প্রথম দিন দুপুরের পর থেকেই রাজধানী ঢাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। সিগন্যাল পয়েন্ট ছাড়িয়ে পুরো রাস্তাজুড়েই গাড়ির জটলা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন ফ্লাইওভারেও দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। অফিসফেরত যাত্রীদের ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা গণপরিবহনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে গেছে। গত কয়েক দিনের তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী রোজার প্রথম দিনেও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে। রোববার (৩রা এপ্রিল) রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিকাল চারটায় মৎস্য ভবন মোড় থেকে সাভার যাবেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান। তার হাতে ইফতার সামগ্রী ছিল। কথা হলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, সিদ্ধেশ্বরী থেকে মৎস ভবনে আসতে তার এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। প্রতিটি বাসেই প্রচ- ভিড়। সহসাই কোনো বাসে উঠা যাচ্ছে না। অন্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যানজট বেশি। একই স্থানে কথা হলে সাভার পরিবনের চালক সজীব বলেন, যে রাস্তা অতিক্রম করতে আগে এক ঘণ্টা লাগত, আজ সেই একই রাস্তা অতিক্রম করতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগছে। রাস্তায় যানজট অনেক বেশি। ফার্মগেটে দুপুর ৩টায় কথা হলে রনি নামে এক যাত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে আসতে তার দুই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। সাধারণত এই পথ অতিক্রম করতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সরেজমিনে মহাখালী ফ্লাইওভারে দেখা গেছে দীর্ঘ যানজট। দুপুর ৩টায় মগবাজার ফ্লাইওভারে দেখা গেছে সাতরাস্তা থেকে মগবাজার ফ্লাইওভার উঠার পথে দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়েছে। তীব্র যটে ফ্লাইওভারের উপরে মাঝেমধ্যেই গাড়ির চাকা থমকে যাচ্ছে। বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে কথা হলে নীলিমা নামের এক যাত্রী জানান, মহাখালী থেকে মক্কা পরিবনের বাস দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক পর্যন্ত আসতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। সাধারণত এই পথটুকু আসতে আধা ঘণ্টার মতো সময় লাগে। কয়েকটি মোড়ে কথা হলে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রোজার প্রথম দিনে বিকাল থেকেই রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সিগন্যাল পয়েন্টেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বেশ তৎপর ছিল। দীর্ঘ যানজট তৈরি না হতে প্রতিটি সিগন্যাল পয়েন্টেই কিছুক্ষণ পর পর ছাড়া হচ্ছে। জানতে চাইলে শাহবাগ জোনের ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুন্নবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ ওই রকম কোনো স্পেশাল যানজট নয়। গতকাল রোববার ছিলো প্রথম রমজান। সবাই একসঙ্গে অফিস থেকে বের হয়। সবাই ইফতার নিজ নিজ বাসভবনে করবে, এমন ইচ্ছাতেই সবাই এখন রাস্তায়। প্রথম রোজাকে ঘিরে রাস্তায় একটু প্রেশার তৈরি হয়। রাস্তায় যানচলাচল একেবারে থেমে নেই, রাস্তা চালু আছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের তৎপরতা সব সময় আছে। আমরা এখনও তৎপর আছি।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি