April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, September 30th, 2021, 8:00 pm

রোনাল্ডোর গোলে ভিয়ারিয়ালকে পরাজিত করেছে ইউনাইটেড

অনলাইন ডেস্ক :

পিছিয়ে পড়েও ইনজুরি টাইমে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর গোলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইনজুরি টাইমের ৫ মিনিটে রোনাল্ডোর গোলে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত হয়। এই ম্যাচের মাধ্যমে ১৭৮ ম্যাচের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছে ২৬ বছর বয়সী রোনাল্ডো। একইসাথে কোচ ওলে গানার সুলশারকে আরো একটি হতাশাজনক পারফরমেন্সের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ম্যাচ শেষে তাই রোনাল্ডোর প্রশংসা করতে ভুল করেননি সুলশার, ‘মাঠে যখন আপনার হাতে রোনাল্ডোর মত খেলোয়াড় থাকবে তখন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনার সুযোগ থাকবে। পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই সে এটা প্রমান করেছে। সে মানসিক ভাবে দারুন শক্তিশালী, শুধুমাত্র ম্যাচের প্রতি মনোনিবেশ করে সে মাঠে টিকে থাকে। আমি আজ সারাদিন তার প্রতি নজড় রেখেছিলাম। ম্যাচের আগে থেকে সে নিজেকে যেভাবে তৈরী করেছে তা অন্য কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র ক্লাব ফুটবলে নয় জাতীয় দলের ক্ষেত্রেও সে এটা করে থাকে। গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচে সে একটি পেনাল্টি মিস করেছিল। এরপর শেষভাগে দারুন দুটি গোল উপহার দেয়। সে যখন একটি সুযোগ পায় সেটাকে গোলে পরিণত করে। এটাই একজন সত্যিকারের ফিনিশারের মূল কাজ। আসলেই আক্রমনভাগে রোনাল্ডো একজন সেরা খেলোয়াড়। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি ফল। এর ফলে দলের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেছে।’
পাকো আলকাসারের ৫৩ মিনিটে গোলে ইউনাইটেড পিছিয়ে পড়ে। এরপর ৬০ মিনিটে এ্যালেক্স টেলেসের দুর্দান্ত ভলিতে ম্যাচে ফিরে আসলেও সুযোগ তৈরীর ব্যর্থতায় এগিয়ে যেতে পারছিলনা রেড ডেভিসরা। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে নবাগত ইয়ং বয়েজের কাছে পরাজয়সহ শেষ চার ম্যাচে তিন পরাজয়ে অনেকটাই মুষড়ে পড়া ইউনাইটেডের জন্য এই জয়টা দরকার ছিল। এ কারনেই সুলশার স্বীকার করেছেন এটা অবশ্যই দলের জন্য অনেক বড় একটি জয়। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নতুন দলের কাছে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করাটা সত্যিই হতাশাজনক ছিল। কালকের ম্যাচেও প্রথমে গোল হজম করে আরো একটি হতাশার জন্ম দেবার সুযোগ তৈরী করেছিল ইউনাইটেড। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রোনাল্ডোর হাত ধওে দল রক্ষা পেয়েছেন।
গত মৌসুমে ইউরোপা লিগের ফাইনালে সুলশারের দলকে পেনাল্টিতে পরাজিত করে শিরোপা জয় করেছিল ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধে উনাই এমেরির দল সবদিক থেকে ইউনাইটেডের থেকে এগিয়ে ছিল। রক্ষনভাগে হ্যারি ম্যাগুয়েরে, এ্যারন ফন বিসাকা ও লুক শ নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হন। ডিফেন্ডার দিয়োগো ডালটকেও প্রথমার্ধে কঠিন পরীক্ষর মুখে পড়তে হয়েছে। আরনাট ডানুমা বামদিক থেকে বারবার আক্রমণ করে ইউনাইটেডের রাইট ব্যাক ডালটকে পরাস্ত করেছেন। এর মধ্যে দুবার তার শট ডেভিড ডি গিয়া রুখে দেন। ডানুমার ক্রস থেকে আলকাসারের হেড রক্ষা করেন ডি গিয়া।
প্রথমার্ধের সুযোগগুলো হাতছাড়া হবার পর ভিয়ারিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে আর ভুল করেনি। কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ডানুমার লো ক্রসে আলকাসার স্প্যানিশ দলকে এগিয়ে দেন। সাত মিনিট পর ব্রুনো ফার্নান্দেসের সহায়তা দুর্দান্ত এক ভলিতে ব্রাজিলিয়ান টেলেস সমতা ফেরান। এডিনসন কাভানি সহজ সুযোগ নষ্ট করলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি ইউনাইটেডের। ইনজুরি টাইমে বামদিক থেকে বদলী খেলোয়াড় ফ্রেডের ক্রসে রোনাল্ডো জয়সূচক গোলটি উপহার দেন।
এফ-গ্রুপের অপর ম্যাচে আটালান্টা ১-০ গোলে ইয়ং বয়েজকে পরাজিত করেছে। এর মাধ্যমে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছেআটালান্টা। এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইয়ং বয়েজ। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড।