নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনুপ্রবেশের চার বছরেও শুরু করা যায়নি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। রাখাইনে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও সাড়ে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর গত চার বছরে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নিয়েছে ২ লাখের বেশি শিশু। সব মিলিয়ে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার একর পাহাড় ও বনভূমি। নষ্ট হয়েছে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণিসহ জীববৈচিত্র্য। এছাড়া মাদক ও মানবপাচার, ডাকাতি, চাঁদাবাজী, খুন ও অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। এতে স্থানীয়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি নানা বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
অনুপ্রবেশের শুরু থেকে বছর পূর্তি উদযাপন করলেও গত বছর বিভিন্ন সংকটের কারণে ৩ বছর পূর্তি উদযাপন করেনি রোহিঙ্গারা। এর আগের বছর ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ঢাক-ঢোল পিটিয়ে রোহিঙ্গা-নারী পুরুষের বড় সমাবেশের মাধ্যমে বর্ষপূর্তি উদযাপন করে তারা। জন সমাবেশে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুহিবুল্লাহ নামক রোহিঙ্গা নেতা।
রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক অর্থনৈতিক কারণে প্রতিনিয়ত তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যাক, এটাই কামনা স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার অভিযোগ এনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর শুরু করে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ। তাদের বর্বর অত্যাচার ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২