পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে অবস্থানরত মিয়ানমারের সব নাগরিককে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব উপায়ে মিয়ানমারকে রাজি করাতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সিনেটর জন অসফ (ডেমোক্র্যাট-জর্জিয়া) এবং এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয়, মধ্য এশিয়া ও অপ্রসারণ পররাষ্ট্র বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান অমি বেরার (ডেমোক্র্যাট-ক্যালিফোর্নিয়া) সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানের নিজ নিজ কার্যালয়ে বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে তাদের অবহিত করেন। মার্কিন আইনপ্রণেতারা এর প্রশংসা করেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ১১ লাখেরও বেশি নাগরিককে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করায় সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেছেন ড.মোমেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়েছে, মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে স্থান দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছেন এবং তারা বলেছেন, এ বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
এ সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর নির্বাসনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং এ বিষয়ে সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানের সমর্থন কামনা করেন।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন আইন প্রণেতাদের সমর্থন কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করার এবং আগামী দিনে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী এবং ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র