এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এই সপ্তাহে বলেছেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি সহায়তা নিয়োগের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া, প্রশাসনিক নয়।’
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশি আইনজীবীরা কাজটি করতে পারবেন না, তাই এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের মাধ্যমে এটি করা হবে।
ইতোমধ্যে কিছু প্রাথমিক আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলার প্রক্রিয়া ভিন্ন।
মাসুদ বিন মোমেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন এবং ৪ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ছিলেন।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত অষ্টম বাংলাদেশ-মার্কিন নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ।
বাংলাদেশ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করেছে।
যেহেতু র্যাব নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের জন্য পুলিশ, বিজিবি এবং বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদের অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাথে সাক্ষাতের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন এলিট ফোর্সের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং আমেরিকান বাহিনীর সাথে প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করতে সময় লাগতে পারে।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০০৪ সালে র্যাব তৈরির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টায় র্যাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম