অনলাইন ডেক্স :
করোনার সংক্রমণ রোধে জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া সরকার ঘোষিত লকডাউন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে গত ২৫ এপ্রিল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিকে বিবাদী করা হয়েছিল।
হাইকোর্টের আদেশে দেয়া জরিমানার ১০ হাজার টাকা থেকে বাঁচতে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে যুক্ত হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল ২০ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
সরকারের লকডাউন দেয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে রিট করে শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দকে গত ৫ মে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন হাইকোর্ট।
বুধবার শুনানিতে ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, “মাই লর্ড আপনার কোর্টের জুম আইডি পরিবর্তন হওয়ায় আমি ওই দিন আদালতে শুনানিতে অংশ নিতে পারিনি। এজন্য ক্ষমা চাইছি। আমাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা মাফ করে দেন। আমি ক্ষমা চাই”।
তখন আদালত বলেন, “ মিস্টার আকন্দ, আপনি তো দেশের একজন জনপ্রিয় মানুষ। জরিমানার ঘটনা মিডিয়ায় এসেছে। তাই আপনি লিখিতভাবে আপনার কথাগুলো আদালতকে জানান। আমরা বিষয়টি দেখ ”।
তবে পূর্বনির্ধারিত শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় লকডাউন ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা সেই রিট সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে রিট করে আদালতে উপস্থিত না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম