জেলা প্রতিনিধি:
ঢাকা-রাঙ্গাবালী নৌরুটে গত শনিবার থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলার রাঙ্গাবালী, দশমিনা, গলাচিপা ও বাউফল উপজেলার বিভিন্ন ঘাটের যাত্রীরা। রাঙ্গাবালী উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী সোবহান ফকির বলেন, গত তিনদিন যাবত ঢাকায় মাছ পাঠাতে পারছি না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলে পথে বসতে হবে। দশমিনার বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন, হঠাৎ করে লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তো আর কোনো উপায় নেই। এমন করে জনগণকে কষ্ট দেওয়া ঠিক না। এর আগে, গত শুক্রবার বিকেলে দশমিনা উপজেলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী ডাবল ডেকার যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ এর কর্মচারীদের মারধর এবং লঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে দশমিনা থানায় লঞ্চের ক্যাশিয়ার মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ইকবাল মাহমুদ লিটনসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে বাকিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিরাপত্তার অজুহাতে ঢাকা-রাঙ্গাবালী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দশমিনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহামুদ লিটন ঘটনাটিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হামান জানান, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, এরইমধ্যে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউউটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। এখনও আলোচনা চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান মিলবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি