অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ২০০ বছর আগে ঢাকাই মসলিন ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কাপড়। কিন্তু তারপর এটা হারিয়ে গেলেও আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এর পুনর্জন্ম হয় বাংলাদেশেই। ব্রিটিশ গবেষক, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তাদের সামনে এই সাফল্যের গল্প তুলে ধরতে আয়োজন করা হয় ‘দ্য ঢাকাই মসলিন স্টোরি’ শীর্ষক সেমিনার। হারিয়ে যাওয়া মসলিনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ২০১৪ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গবেষকদের প্রযুক্তি উদ্ধারের নির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল মসলিন কাপড়ের পুনর্জন্মের উপাখ্যান। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট অব দ্য স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সহযোগিতায় ‘ঢাকাই মসলিন স্টোরি’ শীর্ষক একটি সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকাই মসলিনের গৌরব পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ উদ্যোগ ও এর সাফল্য তুলে ধরা হয়। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৪ থেকে আমাদের যে মসলিনের প্রজেক্টটি শুরু হয় এবং ২০১৮ সালে তিনি এটির উদ্বোধন করেন। এইযে ওঁর দূরদর্শী উদ্দোগ। এটিকে তুলে ধরা। এটার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে বসে বিভিন্ন একাডেমিশন, ইনস্টিটিউশন, মিউজিয়াম যেমর ভিক্টোরিয়া মিউজিয়াম, একটু আগে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একজন আসলেন, ইনাদের কাছে আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি সেই যে হারানো ঐতিহ্য ঢাকাই মসলিন, সেটি কিন্তু বর্তমান সরকার আবার ফিরিয়ে এনেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকাই মসলিনকে একটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে পরিণত করা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এটি বিক্রি করতে পারি। বেঙ্গল মসলিম এর টীম মেম্বার সাইফুল ইসলাম বলেন, আসল কথা বলতে গেলে আমরা যখন কাজটা শুরু করি সে সময় কিন্তু যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল তারা সঠিক উদ্যোগ নিতে পারছিল না এরপর প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললে তারা কিন্তু অনেক উদ্যোগ নিলেন। এরপর আমরা কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সহযোগীতা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ আমাদের অনেক উপকার করেছে। মসলিন আবারো তার বৈশ্বিক বাজার ও শক্তিশালী অবস্থান ফিরে পেতে পারে বলে মনে করছেন ব্রিটিশ গবেষক ও বিশ্লেষকরা। মসলিন বিষয়ক ব্রিটিশ গবেষক ও লেখক সোনিয়া আশমোর বলেন, আমি মনে করি এটি একটি সুন্দর কাপড়, যেটা আমরা সবসময় আশা করি। মানুষের বুঝা উচিত এটা কতটা মূল্যবান।অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। সেমিনারে মসলিন পুনরুজ্জীবনের পর বাংলাদেশ হাইকমিশন নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু