অনলাইন ডেস্ক :
লিও ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন দায়ানা ইয়াস্ট্রেমস্কা। রোমানিয়ার সোরানা সার্স্টিয়াকে ৭-৬(৫), ৪-৬ ও ৬-৪ সেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে দায়ানা। ফাইনালে ওঠার পর দায়ানা জানালেন, ফাইনালে ওঠার জন্য তার মনোবল ছিলে বেশ শক্তিশালী। র্যংকিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা দায়ানা ইয়াস্ট্রেমস্কা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার লড়াইয়ের পর রোমানিয়ার সোরানা সার্স্টিয়াকে হারায়ি ফাইনালের টিকিট কাটে। ফাইনাল নিশ্চিত করার পর দায়ানা বলেন, ‘ম্যাচটি অনেক কঠিন ছিল। তৃতীয় সেটে, যখন আমার ম্যাচ পয়েন্ট ছিল এবং আমি সেই খেলাটি হেরেছিলাম, আমি কিছুটা পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, আমি হারিয়েছি। কারণ আমার আর কোনো ক্ষমতা নেই এবং তখন সবাই আমাকে সমর্থন করছিল, আমাকে সমর্থন করছিল, এবং আমার মনে হয়েছিল, আপনি এটি করতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনাল খেলাটা স্বপ্নের মতো। আর এই ফাইনালে ওঠার জন্য আমার মনোবল ছিল বেশ শক্তিশালী।’ এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। নৌপথ ও বিমানপথ দিয়ে কেউ দেশ ছাড়তে পারছেন না। রাশানরা ইউক্রেনের সব বিমানবন্দর অকার্যকর করে দিয়েছে। তাই দেশত্যাগের একমাত্র পথ এখন সড়কপথ। আর সেই পথ দিয়েই দেশ ত্যাগ করেছেন ইউক্রেনের এই টেনিস তারকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়ানা জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ইয়াস্ট্রেমস্কা তার ছোট বোনকে নিয়ে ইউক্রেন ত্যাগ করেছে আর সেখানে তারা নিরাপদে আছে। ২১ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা ডব্লিউটিএ শিরোপা জিতেছেন তিনবার। বর্তমানে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান ২১ নম্বরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ইয়াস্ট্রেমস্কা লেখেন, ‘ক্লান্ত, কিন্তু আমার বোন এবং আমি নিরাপদ!’ তিনি আরও লেখেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ ফ্রান্স। ইউক্রেন শক্তিশালী থাকুন। আমি আমার বাড়িকে খুব মিস করি।’ এদিকে দেশ ছাড়ার আগে তাদের অবস্থা কেমন ছিল তা সে ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমাদের বাড়ির পার্কিংয়ে দুই রাত কাটানোর পর, আমার বাবা-মা আমাকে এবং আমার ছোট বোনকে ইউক্রেনের বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন! মা, বাবা, আমরা তোমাকে অনেক ভালোবাসি, নিজের যতœ নাও!!! আমি আমার দেশকে ভালোবাসি! ইউক্রেনীয়রা তোমার জীবনের যতœ নিও।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা