অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম লেগে শেষ সময়ের গোলে কোনোমতে হার এড়ানো বায়ার্ন মিউনিখকে এবার দেখা গেল বিধ্বংসী রুপে। ১১ মিনিটের ঝলকে রবের্ত লেভানদোভস্কি করলেন হ্যাটট্রিক, গড়লেন রেকর্ড। সালসবুর্ককে গোল বন্যায় ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ৭-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৮-২ ব্যবধানে এগিয়ে পরের ধাপে পা রাখে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। লেভানদোভস্কির তিন গোলের পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান সের্গে জিনাব্রি। বিরতির পর জোড়া গোল করেন টমাস মুলার। শেষ দিকে জালের দেখা পান লেরয় সানে। প্রথম লেগে ৯০তম মিনিটের গোলে ১-১ ড্র নিয়ে ফেরা বায়ার্ন ঘরের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লেভানদোভস্কির নিচু শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান গোলরক্ষক। পরক্ষণে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেয়ে যায় সালসবুর্ক। আট গজ দূর থেকে নিকোলাস কাপালদোর শট কিংসলে কোমানের পায়ে লেগে বাইরে যায়। এরপর লেভানদোভস্কির ঝলক। শুরুটা দ্বাদশ মিনিটে, পেনাল্টি গোলে। ২১তম মিনিটে আরেকটি স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পোলিশ ফরোয়ার্ড। দুবারই তিনি নিজে প্রতিপক্ষের বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। ২৩তম মিনিটে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। মাঝমাঠ থেকে মুলারের লম্বা পাস ক্লিয়ার করতে বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন সফরকারী গোলরক্ষক। তার শটে বল লেভানদোভস্কির পায়ে লেগে পোষ্টে লাগে। ছুটে গিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান গত দুবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শুরু থেকে সবচেয়ে কম সময়ে হ্যাটট্রিক এটি, ২৩ মিনিটে। ১৯৯৬ সালে ইন্টার মিলানের হয়ে রসেনবর্গের বিপক্ষে মার্কো সিমোনের ২৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক ছিল আগের রেকর্ড। ইউরোপ সেরার মঞ্চে চলতি আসরে লেভানদোভস্কির গোল হলো ১২টি, সব আসর মিলিয়ে ১০৪ ম্যাচে ৮৫টি। তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল লিওনেল মেসি (১২৫) ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর (১৪০)। ৮৫ গোল করতে মেসির লেগেছিল ১০৭ ম্যাচ, রোনালদোর ১২১। এবারের আসরে লেভানদোভস্কির এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এই মাঠেই গ্রুপ পর্বে বেনফিকার বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয়ের ম্যাচে করেছিলেন প্রথমটি। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের হ্যাটট্রিক হলো ৫টি। তার চেয়ে বেশি আছে কেবল মেসি ও রোনালদোর, দুজনেরই সমান ৮টি করে। ৩১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান জিনাব্রি। কোমানের পাস ধরে ডি-বক্সে ডান দিক থেকে শটে গোলটি করেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধেও যথারীতি আধিপত্য ধরে রাখে বায়ার্ন। ৫৪তম মিনিটে দারুণ গোলে স্কোরলাইন ৫-০ করে ফেলেন মুলার। লেরয় সানের পাস বক্সে পেয়ে ডান পায়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শরীরটা ঘুরিয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন জার্মান ফরোয়ার্ড। ৭০তম মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান কমান কাইগার্ড। সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে জোরাল শটে ওপরের কোনা দিয়ে বল জালে পাঠান দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা এই ডেনিশ মিডফিল্ডার। নড়ার সুযোগ পাননি মানুয়েল নয়ার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের এটাই প্রথম গোল। শেষ দিকে আরও দুই গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করে বায়ার্ন। ৮৩তম মিনিটে সানের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ৩২ বছর বয়সী মুলার। এক মিনিট পর লেভানদোভস্কির ব্যাকহিল ফ্লিকে বল পেয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান সানে। আরেক ম্যাচে অ্যানফিল্ডে ইন্টার মিলানের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে লিভারপুল। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে এগিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের দলটি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা